শুধু তা–ই নয়, এর সাহায্যে ব্যবহারকারীর অবস্থানের তথ্য সংগ্রহ করা যায়। তবে নিজেকে স্মার্টফোন ট্র্যাকিং থেকে সুরক্ষিত রাখতে কিছু কৌশল অবলম্বন করতে পারেন। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সাময়িকী রিডার্স ডাইজেস্ট এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। চলুন দেখে নেয়া যাক কিভাবে স্মার্টফোন ট্র্যাকিং থেকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখবেন:
ফোন বন্ধ রাখা
বলা হয়ে থাকে স্মার্টফোনে নিরাপত্তাব্যবস্থা অনেক শক্তিশালী থাকলেও এমন কিছু স্পাইওয়্যার রয়েছে, যাতে নজরদারি করা সম্ভব। সক্রিয়ভাবে স্মার্টফোন ট্র্যাকিং করা হচ্ছে, এমন শঙ্কা থাকলে ফোন বন্ধ রাখা যেতে পারে। দ্য বিগ ফোন স্টোরের বিপণন ব্যবস্থাপক ব্র্যানডন উইলকিস এমন পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বলেন, স্মার্টফোন বন্ধ রাখলে খুব শক্তিশালী স্পাইওয়্যার দিয়েও ট্র্যাক করা সম্ভব নয়।
এয়ারপ্লেন মোড চালু
সাধারণত বিমানে চলাচলের সময় ফোনের এয়ারপ্লেন মোড চালু করা হয়। তবে এ মোড চালু করে পরোক্ষভাবে ফোন ট্র্যাকিং রোধ করা সম্ভব। এটি চালু হলে ব্যবহারকারী ফোনকল করার সুযোগ পান না।র্যাঙ্ক সিকিউরের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) বারুচ লাবুনস্কি বলেন, যেকোনো ধরনের ট্র্যাকিং থেকে সুরক্ষিত থাকার সবচেয়ে সহজ ও দ্রুততম উপায় হলো এয়ারপ্লেন মোড চালু করা। ফলে ফোনের অভ্যন্তরে ইনস্টল করা সেল ও ওয়াই–ফাই রেডিয়াস বন্ধ থাকে। যার কারণে কোনো নেটওয়ার্কে সংযুক্ত হতে পারে না।
লোকেশন অ্যাকসেস বন্ধ করা
স্মার্টফোনের সেটিংস থেকে লোকেশন অ্যাকসেস বন্ধ করে দিতে হবে। ফলে ফোন ব্যবহারকারীর সঙ্গে থাকলেও ট্র্যাক করা যাবে না।
সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহারে সতর্কতা
সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহারে সতর্ক থাকলেও ট্র্যাকিং থেকে নিরাপদ থাকা যায়। কারণ, ব্যবহারকারীর অবস্থানসহ বিভিন্ন তথ্য সার্চ ইঞ্জিনে সংরক্ষিত থাকে।
কোন অ্যাপ তথ্য সংগ্রহ করছে, তা খেয়াল রাখা
স্মার্টফোনের অ্যাপগুলো সচল করার সময় অবস্থানসহ বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহের অনুমতি দেওয়ার প্রয়োজন হয়। এ জন্য ফোনে ইনস্টল করা কোন অ্যাপ কোন তথ্য সংগ্রহ করছে, তা খেয়াল রাখতে হবে।
অ্যাপ ও অপারেটিং সিস্টেমের হালনাগাদ ব্যবহার
অপারেটিং সিস্টেম ও অ্যাপ বিভিন্ন সময় নানা ধরনের ত্রুটি দেখা দেয়। এসব ত্রুটি সমাধানে প্রতিষ্ঠানগুলো অপারেটিং সিস্টেম বা অ্যাপের হালনাগাদ সংস্করণ প্রকাশ করে। তাই সুরক্ষিত থাকতে অ্যাপ ও অপারেটিং সিস্টেমের হালনাগাদ সংস্করণ ব্যবহার করতে হবে।
গণ ওয়াই–ফাই ব্যবহারে সতর্কতা
গণ ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্ক ব্যবহারে ই-মেইল, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অ্যাকাউন্ট আইডি ও পাসওয়ার্ড, ব্যাংক অ্যাকাউন্টসহ ব্যক্তিগত বিভিন্ন তথ্য চুরির আশঙ্কা থাকে। কারণ, অনেক সময় পাবলিক ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্কের নিরাপত্তা তেমন শক্তিশালী হয় না। ফলে সাইবার অপরাধীরা চাইলেই পাবলিক ওয়াই-ফাই থেকে বিভিন্ন তথ্য চুরি করতে পারে।
অব্যবহৃত অ্যাপ থেকে তথ্য সংগ্রহের অনুমতি বন্ধ
অ্যাপ ইনস্টলের ক্যামেরা, মাইক্রোফোনসহ অবস্থান, ফাইল ও কল লগের মতো বিভিন্ন তথ্য ব্যবহারের অনুমতি দিতে হয়। তবে ফোনে ইনস্টল করার পর সব অ্যাপ নিয়মিত ব্যবহার করা হয় না। অব্যবহৃত অ্যাপগুলোকে দেওয়া অনুমতি মুছে ফেলে ট্র্যাকিং ঠেকানো সম্ভব।