উত্তরবঙ্গে ঈদে মহাসড়কে ঘরমুখো মানুষদের ভোগান্তিত পড়তে হয়। প্রতিবছর ঈদযাত্রায় যানজটের ভোগান্তিই হয় সঙ্গী। কিন্তু এবার সেই চিত্র থাকবে না। সাসেক-২ প্রকল্পের আওতায় বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম গোলচত্বর থেকে বগুড়া পর্যন্ত দুই লেনের মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণের কাজ ৮৫ শতাংশ শেষ হয়েছে। সেই সঙ্গে খুলে দেওয়া হয়েছে বেশকটি আন্ডারপাস। এতে এবারের উত্তরাঞ্চলের ২২ জেলার মানুষের ঈদযাত্রা স্বস্তির হবে। এমনটাই আশা করছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা।
চালক ও যাত্রীরা বলছেন, মহাসড়কের বিভিন্ন অংশ খুলে দেওয়ায় এবারের ঈদযাত্রা হবে অনেকটা স্বস্তিদায়ক। সাসেক-২ প্রকল্পের আওতায় হাটিকুমরুল ইন্টারচেঞ্জের প্রকল্প ব্যবস্থাপক মাহবুবুর রহমান সংবাদমাধ্যমকে বলেন, বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম গোলচত্বর থেকে বগুড়া পর্যন্ত মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। এতে অন্যবারের চেয়ে এ বছর ঈদযাত্রার যানবাহনগুলো স্বাভাবিক গতিতেই চলাচল করতে পারবে। তিনি বলেন, বিশেষ করে কড্ডার মোড় ও নলকার মোড়ে প্রতিবছর যানজট বেশি দেখা গেলেও, এবার এ জায়গাগুলোতে আন্ডারপাস খুলে দেওয়ায় দূরপাল্লার গাড়িগুলো ওপর দিয়ে চলে যাবে। আর অন্যান্য গাড়ি আন্ডারপাসের নিচ দিয়ে চলাচল করলে এ পথে কোনো যানজট থাকবে না।
সাসেক-২ প্রকল্পের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হেগো-মীর আকতার জেভির প্রজেক্ট ম্যানেজার এখলাছ উদ্দিন জানান, ঈদকে কেন্দ্র করে আগে থেকেই পরিকল্পনামাফিক মহাসড়কের কাজ করা হয়েছে। এবার ঈদযাত্রায় সুফল পাবে ঘরমুখো মানুষ। সেই সঙ্গে মহাসড়কের ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলো চিহ্নিত করে ঈদের আগেই সংস্কার কাজ শেষ করা হবে। পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান মণ্ডল বলেন, মহাসড়কে যানবাহনের অতিরিক্ত চাপ নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি যাত্রীদের নিরাপত্তায় জেলা পুলিশের পক্ষ থেকেও বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে ২৪ ঘণ্টা পুলিশ থাকবে; সেই সঙ্গে বেশ কয়েকটি মোবাইল টিম রাখা হয়েছে।