প্রথম নিরপেক্ষ অ্যাথলেট হিসেবে প্যারিস অলিম্পিকে স্বর্ণ জিতেছেন বেলারুশের অ্যাথলেট ইভান লিটভিনোভিচ। কিন্তু পদক জিতেও অলিম্পিকের অফিসিয়াল পদকতালিকায় তিনি জায়গা করে নিতে পারেননি। এমনকি নিজ দেশের পতাকাও গায়ে জড়াতে পারেননি!মূলত ইউক্রেনের ওপর হওয়া আগ্রাসনে রাশিয়াকে সমর্থন দেওয়ায় রাশিয়ার সঙ্গে অলিম্পিকে নিষিদ্ধ করা হয় বেলারুশকেও। তবে গত বছর নিরপেক্ষ ক্রীড়াবিদ হিসেবে ২০২৪ প্যারিস অলিম্পিকে রাশিয়া ও বেলারুশের অ্যাথলেটদের অংশ নেওয়ার ব্যাপারে সবুজসংকেত দেন অলিম্পিকপ্রধানেরা।
নিরপেক্ষ ক্রীড়াবিদ হিসেবে অংশ নিলেও তাদের ওপর শর্ত দেওয়া হয় যে, ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধে তারা সমর্থন দিতে পারবেন না। এছাড়া ইন্টারন্যাশনাল স্পোর্টস ফেডারেশন এবং আইওসি নির্বাচিত অ্যাথলেটরা ইউক্রেন যুদ্ধে কোনোভাবে সমর্থন দিয়েছেন কি না, তাও যাচাই করে দেখা হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া থেকে এবং নিজ নিজ জাতীয় পতাকার অধীনে খেলা থেকেও বিরত রাখা হয় এই ক্রীড়াবিদদের। আর পদক জিতলে সে অর্জন যে মেডেলের তালিকায় দেখানো হবে না, সেটাও জানানো হয়। এসব কঠিন শর্ত মেনেই রাশিয়ার ১৫ জন ও বেলারুশের ১৭ জন অ্যাথলেট নিরপেক্ষভাবে এবারের অলিম্পিকে অংশ নিয়েছেন।
বেলারুশের হয়ে পুরুষদের ট্রাম্পোলিনে স্বর্ণ জিতেছেন লিটভিনোভিচ। এই ইভেন্টে রুপা ও ব্রোঞ্জ দুটোই জিতেছেন দুই চীনা অ্যাথলেট—ওয়াং জিসাই রুপা এবং ব্রোঞ্জ জিতেছেন ইয়ান লানগাইয়ু। তবে লিটভিনোভিচ বিজয় মঞ্চে পদক নেওয়ার সময় তার দেশের জাতীয় সংগীত বাজানো হয়নি। কোনো শব্দ সংযোজন ছাড়াই সংগীত বাজানো হয়।
পরে সংবাদকর্মীদের ইভান লিটভিনোভিচ বলেছেন, ‘এখানে কী আর বলার আছে? আমাদের জাতীয় সংগীত ভালো এবং আমি আশা করি আমরা এটা শুনে প্রতিযোাগিতায় অংশ নিতে পারব।’ লিটভিনোভিচ এর আগে তাঁর দেশকে ‘সমর্থন’ দিয়েছেন। সে প্রসঙ্গ তুলে এবারের অলিম্পিকে তার আসা প্রসঙ্গে সংবাদকর্মীরা জানতে চাইলে লিটভিনোভিচ বলেছেন, ‘আমি এ প্রশ্নের উত্তর দিতে চাই না। আপনারা আমাকে উসকানোর চেষ্টা করছেন। আমি শুধু খেলাধুলাসংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেব।’এর আগে প্যারিস অলিম্পিকে প্রথম নিরপক্ষ অ্যাথলেট হিসেবে প্রথম পদক জেতেন বেলারুশের ভিয়ালেটা বার্দজিলুস্কায়া। নারীদের ট্রাম্পোলিনে রুপা জিতেছেন তিনি।