স্ত্রীর পরকীয়া সহ্য করতে না পেরে বউয়ের বড় ভাইয়ের বাড়িতে এসে আত্মহত্যা করেছেন এক যুবক। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলার বানিয়াপাড়া এলাকায় এন্তাজুলের বাসায় এই ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তির নাম দেবারু (৩৮)। তার বাড়ি একই উপজেলার চন্দনবাড়ী ইউনিয়নের ফিনদাইল পাড়া গ্রামে। সে ওই এলাকার শুকুর আলীর ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, নিহত দেবারু ও তার স্ত্রী দীর্ঘদিন যাবত ঢাকার একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করেন। এ সময় তার স্ত্রী এক ব্যক্তির সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ান। পরকীয়া প্রেমিক ও তার নির্যাতনে একাধিকবার অভিযোগ করেন তার শ্বশুরবাড়ির লোকজনের কাছে। সম্প্রতি নিজ এলাকায় দেবারু ও তার স্ত্রী ঈদের জন্য বাসায় আসলে সেখানেও তাকে নির্যাতন করা হয়। গতকাল দেবারুর স্ত্রী তার স্বামীকে রেখে ঢাকায় যায়। এ ঘটনায় আজ সকালে স্ত্রীর বড় ভাইয়ের বাসায় অভিযোগ করতে আসেন। অভিযোগ শোনার পরে কোনোরকম সুরাহার আশায় না পেয়ে সে বাসায় সবার অজান্তে ফ্যানের সঙ্গে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন।
নিহতের পরিবারের সদস্যরা জানান, বিয়ের পর হতে সংসারের স্বচ্ছলতা ফেরাতে ঢাকায় পাড়ি জমান। চাকরি করার সুবাদে তার চাচী সেখানে এক ব্যক্তির সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ান। এ নিয়ে বারবার তাদের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ চলে আসছিল। আজ চাচীর বড় ভাইয়ের কাছে সেই অভিযোগ নিয়ে এখানে আসেন। বিকেলে কোনো এক সময় চাচা আত্মহত্যা করেন।
এলাকাবাসীরা জানান, প্রায় সময় নানা অভিযোগ নিয়ে নিহত ব্যক্তি তার শশুরবাড়ির লোকজনের কাছে অভিযোগ করেন। আজ সকালে তাকে এখানে আসতে দেখেন। তবে সকলেই বলছে যে পারিবারিক কলহের জেড়ে আত্মহত্যা করে। এ ঘটনায় বোদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোজাম্মেল হক জানান, কি কারণে আত্মহত্যা করেছে তা তদন্ত করলে জানা যাবে। আমরা লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য প্রেরণ করেছি। তদন্ত রিপোর্ট আসলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।