সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের চেয়ারম্যান মোস্তফা গোলাম কুদ্দুসসহ আটজনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন এই আদেশ দেন।দুদকের সহপরিচালক রাফিবুল হায়াত দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার এই আবেদন করেন।আবেদনে বলা হয়, সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের চেয়ারম্যান মোস্তফা গোলাম কুদ্দুস ও তার মেয়ে পরিচালক ফৌজিয়া কামরুন তানিয়া, ছেলে মোস্তফা কামবুস সোবহান, ছেলে বউ শাফিয়া সোবহান চৌধুরী, মেয়ে তাসনিয়া কামরুন অনিকা, স্ত্রী ফজলুতুননেসা, পরিচালক নূর-ই-হাফজা, কোম্পানীর সাবেক সিএফও ও মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মীর যাশেম বিন আমানগণের বিরুদ্ধে একে অপরের সহায়তায় প্রতারণা ও জাল-জালিয়াতির আশ্রয়ে জাল চুক্তিনামা সৃজনপূর্বক অপরাধজনক বিশ্বাসভঙ্গের মাধ্যমে বিভিন্ন সময়ে অবৈধভাবে সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেড-এর তহবিল থেকে মোট ১৮৭ কোটি ৮৪ লাখ ১৫ হাজার ৯৬৬টাকা উত্তোলন করেছেন।পরবর্তী সময়ে বিদিক বেয়ারিং-এর মাধ্যমে ওই অর্থ তাদের নামীয় বিভিন্ন কোম্পানী ও ব্যাংক হিসাবে স্থানান্তর ও রূপান্তরের মাধ্যমে আত্মসাৎ করে দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৬ খারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪ (২) ও (৩) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধের অভিযোগে দুদক, সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ঢাকা-১ এর মামলা নং-১৭, তারিখ- ২৫ জুলাই ২০২৪ দায়ের করা হয়েছে।
মামলাটি বর্তমানে তদন্তাধীন। বিষয়টি রাষ্ট্রের স্বার্থে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধে অতীব গুরুত্বপূর্ণ। গত ২০ আগস্ট ২০২৪ বর্ণিত আসামিদের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা প্রদানের অনুমোদন করা হয়েছিল। সে আদেশে নিম্নবর্ণিত ৮ জন ব্যক্তির বিদেশ ভ্রমণে ৬০ (ষাট) দিনের জন্য নিষেধাজ্ঞা প্রদান করা হয়। ওই নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ ২২ অক্টোবর অতিক্রান্ত হবে। ওই মামলাটি বর্তমানে তদন্তাধীন আছে। তদন্তকালে গোপন সূত্রে জানা যায়, মামলার আসামিরা বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। তারা বিদেশে পালিয়ে গেলে তদন্ত কার্যক্রম দীর্ঘায়িত বা ব্যাহত হওয়ার সমূহ সম্ভবনা রয়েছে। বিধায় মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে নিম্নবর্ণিত আসামিদের বিদেশ গ বিদেশ গমন রহিত করা একান্ত প্রয়োজন।