Skip to content

সেমিফাইনালের আশা শেষ বাংলাদেশের

    সেমিফাইনালের আশা শেষ বাংলাদেশের prothomasha.com

    টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে যেতে হলে শেষ ১৯ বলে রান লাগত ৪৩। বোলিংয়ে এলেন আফগানিস্তানের স্পিনার নূর আহমেদ। তরুণ এই স্পিনারের বিপক্ষে অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ খেললেন ৫টি ডট বল। একটি বাউন্ডারি পান ওভারের তৃতীয় বলে।পরে সমীকরণ নেমে আসে ১৩ বলে ৩৯ রানে। পরে রশিদ খানের ওভারেও বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা খেলেছেন রয়েসয়ে। সেই ওভারের পঞ্চম বলে মাহমুদউল্লাহ আউট হন ৯ বলে ৬ রান করে। মাহমুদউল্লাহর এমন ইনিংসেই মূলত শেষ হয়ে যায় সেমিফাইনালের স্বপ্ন। সেই ওভারের শেষ বলে আউট হন রিশাদ হোসনেও।এর আগে প্রথমে ব্যাট করা আফগানরা নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১১৫ রান করেছে। তবে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করতে হলে বাংলাদেশকে ১২.১ ওভারে ১১৬ করতে হতো।

    তবে বাংলাদেশ যদি ১২.১ ওভারে আফগানদের সমান ১১৫ রানই করে, সে ক্ষেত্রে স্কোর সমান হওয়ার পর একটি ছয় মারতে হবে। তার মানে ১২.৫ ওভারে বাংলাদেশকে করতে হবে ১২১ রান। আবার ১২.৩ ওভারে আফগানিস্তানকে টপকাতে পারলেও সেমিফাইনালে যাবে বাংলাদেশ। সে ক্ষেত্রে ১২,৩ ওভারে করতে হবে ১১৯ রান। ১২.২ ওভারে জিতলে করতে হবে ১১৮। ১২.৩ ওভারে জিতলে ১১৯, ১২.৪ ওভারে ১২০ আর ১২.৫ ওভারে ১২১ রান করতে হবে।

    এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১৫ ওভার শেষে ৭ উইকেট হারিয়ে ৯৪ রান করেছে বাংলাদেশ। বৃষ্টির কারণে এক ওভার কমে আসায় বাংলাদেশের এখন ২৪ বলে জয়ের জন্য ২০ রান দরকার।১১৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারে ১৩ রান তুললেও দ্বিতীয় ওভারে ফজল হক ফারুকির বলে শূন্য রালে আউট হন তানজিদ হাসান তামিম। পরের ওভারে নাভিন উল হককে জোড়া উইকেট উপহার দেয় বাংলাদেশ। এবার নাজমুল হোসেন শান্ত ও সাকিব আল হাসান উইকেট বিলিয়ে দেন। এরপর বৃষ্টি শুরু হয়।

    বৃষ্টি থামার পর ফের খেলা শুরু হলে সৌম্য সরকার রশিদ খানের বলে বোল্ড হন ১০ রানে। এরপর তাওহিদ হৃদয় ৯ বলে দ্রুত ১৪ রান করলেও রশিদের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন।আজ মঙ্গলবার সেন্ট ভিনসেন্টে আফগানিস্তানের বিপক্ষে খেলছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ সময় ভোর সাড়ে ৬টায় ম্যাচটি শুরু হয়। এ ম্যাচের ওপর নির্ভর করছে কে পাবে সেমির টিকিট। যেখানে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে আফগান অধিনায়ক রশিদ খান।

    ফিল্ডিংয়ে নেমে বাংলাদেশ দারুণ বোলিংয়ে আফগানদের শুরু থেকেই চাপে রাখে। যদিও ১০ ওভার পর্যন্ত কোনো উইকেটের দেখা পায়নি টাইগাররা। অবশেষে ১১তম ওভারে ব্রেকথ্রু এনে দেন রিশাদ হোসেন। এই লেগস্পিনারের বলে তুলে মারতে গিয়ে তানজিম হাসানকে ক্যাচ দেন ইব্রাহিম জাদরান। জাদরান ২৯ বলে এক চারে ১৮ রান করেন।এরপর ১৬তম ওভারে নতুন ব্যাটার আজমতউল্লাহ ওমরজাইকে ১০ রানে ফেরান মোস্তাফিজুর রহমান। পরের ওভারেই জোড়া উইকেট নেন রিশাদ। প্রথম বলে রহমানউল্লাহ গুরবাজকে সৌম্য সরকারের ক্যাচে বিদায় করেন এই স্পিনার। গুরবাজ ৫৫ বলে ৪৩ রান করেন। আর চতুর্থ বলে ফেরান গুলবাদিন নাইবকে। এবারও ক্যাচ নেন সৌম্য।

    অসাধারণ বল করা তাসকিন নিজের শেষ ওভারে উইকেটের দেখা পান। মোহাম্মদ নবীকে শান্তর ক্যাচে আউট করেন। ৪ ওভারে তাসকিন দেন মাত্র ১২ রান।আফগানদের হয়ে শেষ দিকে ব্যাট করতে নেমে রশিদ খান ১০ বলে ৩ ছক্কায় ১৯ রানের অপরাজিত ক্যামিও ইনিংস খেলেন। এই রান না করলে হয়তো ১০০ রানও হতো না আফগানদের।বাংলাদেশ বোলারদের মধ্যে রিশাদ ৪ ওভারে ২৬ রান দিয়ে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট নেন। একটি করে উইকেটের দেখা পান তাসকিন ও মোস্তাফিজ।

    এ ম্যাচে আফগানিস্তান বাংলাদেশকে হারাতে পারলে কোনো হিসেব ছাড়াই সেমিতে যাবে। সেক্ষেত্রে সুপার এইট থেকেই বিদায় নিতে হবে অস্ট্রেলিয়া ও বাংলাদেশকে। তবে বাংলাদেশ যদি আফগানিস্তানকে হারাতে পারে তাহলে তিন দলের পয়েন্ট হবে সমান ২ করে।ফলে নেট রানরেটের ভিত্তিতে সেমি ফাইনালিস্ট নির্ধারিত হবে। আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশ আগে ব্যাটিং করে যদি ১৬০ রান করে। তাহলে সেমিতে যাওয়ার জন্য অন্তত ৬২ রানের ব্যবধানে জিততে হবে নাজমুল হোসেন শান্তর দলকে।

    এদিকে যদি আফগানিস্তান আগে ব্যাটিং করে ১৫০ রান করে তাহলে বাংলাদেশকে জিততে হবে ১২ ওভার ৫ বলের মধ্যে। আফগানিস্তান ১৮০ রান করলে ১৩ ওভার ১ বলের মধ্যে জিততে হবে বাংলাদেশকে। কিংবা আফগানদের যদি ১২০ রানে আটকে দিতে পারে বাংলাদেশ তাহলে সেই রান তাড়া করতে হবে ১২ ওভার ১ বলের মধ্যে।আজ দুটি পরিবর্তন নিয়ে একাদশ সাজিয়েছে বাংলাদেশ। সহ-অধিনায়ক তাসকিন আহমেদ ও সৌম্য সরকারকে ফেরানো হয়েছে। তাদের জায়গা দিতে বাদ পড়েছেন জাকের আলী ও মেহেদী হাসান।

    বাংলাদেশ একাদশ: তানজিদ হাসান, লিটন দাস (উইকেটকিপার), নাজমুল হোসেন (অধিনায়ক), সাকিব আল হাসান, তাওহিদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ, জাকের আলী, মেহেদী হাসান, রিশাদ হোসেন, তানজিম হাসান ও মোস্তাফিজুর রহমান।আফগানিস্তান একাদশ: রহমানউল্লাহ গুরবাজ, ইব্রাহিম জাদরান, গুলবদিন নাইব, আজমতউল্লাহ ওমরজাই, মোহাম্মদ নবী, করিম জানাত, রশিদ খান (অধিনায়ক), নানগায়াল খারোতি, নুর আহমেদ, নাভিন-উল-হক, ফজলহক ফারুকি।