চীন-আমেরিকা বাণিজ্য বিরোধসহ বিভিন্ন সংকটের কারণে বৈশ্বিক প্রযুক্তি খাত দীর্ঘদিন ধরে অস্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে। এর মধ্যে বৈশ্বিক পর্যায়ে সেমিকন্ডাক্টর উৎপাদনের অন্যতম কেন্দ্রে পরিণত হয়ে উঠছে ভারত। প্রযুক্তি বিশ্লেষকদের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে ইকোনমিক টাইমস।সাম্প্রতিক বিভিন্ন উদ্যোগের কারণে দেশটি যে সেমিকন্ডাক্টর উৎপাদনের হাব হয়ে উঠছে সে আভাস মিলছে। বিশ্বের অনেক বড় কোম্পানি ভারতে তাদের কারখানা স্থাপনসহ কার্যক্রম বৃদ্ধির উদ্যোগ নিয়েছে।
সম্প্রতি ভারত সরকার ১ দশমিক ২৬ লাখ কোটি রুপি ব্যয়ে তিনটি সেমিকন্ডাক্টর ইউনিট নির্মাণের অনুমোদন দিয়েছে। মেক ইন ইন্ডিয়া স্লোগান সামনে রেখে করোনা মহামারির সময় অভ্যন্তরীণ উৎপাদন কার্যক্রমকে অগ্রাধিকার দিয়ে ২০২১ সালের ডিসেম্বরে ভারত সরকার প্রডাকশন লিংকড ইনসেনটিভ স্কিম ঘোষণা করে। এতে চিপ ও ডিসপ্লে ইউনিট উৎপাদনের জন্য ৭৬ হাজার কোটি রুপি বরাদ্দ দেওয়া হয়। ইন্ডিয়া ইলেকট্রনিকস অ্যান্ড সেমিকন্ডাক্টর অ্যাসোসিয়েশন (আইইএসএ) ও কাউন্টারপয়েন্ট রিসার্চের তথ্যানুযায়ী, ২০২৬ সাল নাগাদ ভারতের সেমিকন্ডাক্টর বাজার ৬ হাজার ৪০০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যাবে। এটি ২০১৯ সালের ২ হাজার ২৭০ কোটি ডলারের তুলনায় প্রায় তিনগুণ বেশি।
সম্প্রতি তিনটি প্রকল্পে অনুমোদন দিয়েছে ভারত সরকার। এর মধ্যে ৯১ হাজার কোটি রুপি ব্যয়ে গুজরাটের ধোলেরাতে কারখানা স্থাপন করবে টাটা ইলেকট্রনিকস সেমিকন্ডাক্টর ইউনিট ও তাইওয়ানের পাওয়ারচিপ। টাটা সেমিকন্ডাক্টর অ্যাসেম্বলি অ্যান্ড টেস্টের সেমিকন্ডাক্টর ইউনিট আসামে ২৭ হাজার কোটি রুপি বিনিয়োগে কারখানা নির্মাণ করবে। এছাড়া রেনেসাস ইলেকট্রনিকস করপোরেশন ও থাইল্যান্ডের স্টারস মাইক্রোইলেকট্রনিকসের সঙ্গে ৭ হাজার ৬০০ কোটি রুপি বিনিয়োগে গুজরাটে কারখানা নির্মাণ করবে সিজি পাওয়ার।