মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকালে অস্ত্রসহ আটক ২৩ রোহিঙ্গাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড চেয়েছে পুলিশ। আজ শনিবার বিকেলে এ তথ্য জানিয়েছেন উখিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ মো. শামীম হোসেন।
তিনি জানান, কক্সবাজারের উখিয়া সীমান্তের বিভিন্ন স্থান দিয়ে তারা এদেশে প্রবেশ করে। তবে তারা বাংলাদেশে আশ্রিত বিভিন্ন ক্যাম্পের তালিকাভুক্ত রোহিঙ্গা। কিন্তু কী কারণে তারা মিয়ানমারে গিয়েছিল তা জানার চেষ্টা চলছে। আটক রোহিঙ্গাদের কাছ থেকে প্রকৃত তথ্য জানতে আদালতে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
গত মঙ্গলবার ভোর ও রাতে সীমান্ত দিয়ে কিছু অস্ত্রধারী রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশকালে স্থানীয়রা আটক করে জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে হেফাজতে নেয় বিজিবি। এ সময় তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন ধরনের ১২টি অস্ত্র ও ৮০০টি গুলি পাওয়া যায়। পরে গতকাল শুক্রবার দুপুরে বিজিবির এক সদস্য বাদী হয়ে ওই ২৩ রোহিঙ্গাকে আসামি করে মামলা দায়ের করে উখিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়।
এদের মধ্যে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী নবী হোসেন গ্রুপের কিছু সন্ত্রাসী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ঢুকে পড়েছে বলে একাধিক সূত্র জানিয়েছে।ওসি শামীম হোসেন জানান, পুলিশ মামলাটি নথিভুক্ত করার পর বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে রোহিঙ্গা ২৩ আসামিকে কক্সবাজার আদালতে পাঠানো হয়। আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতের কাছে ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে। শুনানির পর আদালত সিদ্ধান্ত নেবে।
আজ শনিবার বিকেল পর্যন্ত আটক রোহিঙ্গাদের কোর্ট হাজতে নেওয়া হলেও আদালতে উপস্থাপন করা হয়নি বলে জানা যায়। আটকদের মধ্যে আব্দুল্লাহ (১৮), আবু সালাম (৩১), মো. রফিক (২৪), শফিক আলম (২১), শমাসু (২৭), হাফেজ ফারুকের (১৮) নাম জানা গেলেও বাকীদের নাম জানা যায়নি। এরা উখিয়ার কুতুপালং-বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা।
থাইংখালীর রহমতের বিল গ্রামের নোমান জানান, তারা একটি ডিঙি নৌকায় করে বাংলাদেশে প্রবেশের পর স্থানীয়রা তাদের মিয়ানমারের পুলিশ মনে করেন। কিন্তু কাছে এলে দেখা যায় তারা মিয়ানমারের রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সদস্য।