বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছে আওয়ামীপন্থী শিল্পীদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ‘আলো আসবেই’। বিশেষ করে অরুণা বিশ্বাসে আক্রমণাত্মক বক্তব্য আরো বেশি সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। ছাত্র-জনতার এই আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর ‘গরম জল’ ঢালার পরামর্শ দেন এই অভিনেত্রী। এছাড়া গ্রুপটিতে বেশ সক্রিয় ছিলেন অভিনেতা সাজু খাদেম, জ্যোতিকা জ্যোতি ও ঊর্মিলা শ্রাবন্তী কর।এদিকে, টেলিভিশন শিল্পীদের সবচেয়ে বড় সংগঠন ‘অভিনয়শিল্পী সংঘ’। এই সংগঠনের নির্বাহী কমিটিতে আছেন সাজু ও ঊর্মিলা। তাদের বিরুদ্ধে শোকজ চিঠি পাঠিয়েছে সংঘ।
সংঘের সভাপতি আহসান হাবীব নাসিম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘গ্রুপটিতে বেশ কিছু স্ক্রিনশট শেয়ার করা হয়েছে। এর মধ্যে আমাদের সংঘের নির্বহী কমিটির দুই সদস্যও স্ক্রিনশট শেয়ার করেন। এমনকি সাজু ছিলেন সেই গ্রুপের অ্যাডমিন। তাই তাদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।’অন্যদিকে অরুণা ও জ্যোতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
নিজেদের অবস্থান নিয়ে নাসিম বলেন, ‘যেদিন শিল্পীরা বিটিভিতে গিয়েছিলেন, আমরা কয়েকজন তাদের সঙ্গে যোগ দিইনি। আমরা গিয়েছিলাম হাসপাতালে আহতদের দেখতে। তারপরও যৌক্তিক কারণ উপস্থাপিত হলে আমি পদত্যাগ করতে রাজি আছি।’
উল্লেখ্য, ‘আলো আসবেই’ গ্রুপের অ্যাডমিন ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য ও অভিনেতা ফেরদৌস, নায়ক রিয়াজ, অভিনেতা সাজু খাদেম ও অভিনেত্রী শামীমা তুষ্টি। আর এতে যুক্ত ছিলেন শোবিজের অনেক তারকা। এই তালিকায় আছেন সংসদ সদস্য ও অভিনেতা ফেরদৌস, নায়ক রিয়াজ, জায়েদ খান, সাইমন সাদিক, অভিনেত্রী অভিনেত্রী সুজাতা, অরুণা বিশ্বাস, নিপুণ, শমী কায়সার, আজিজুল হাকিম, রোকেয়া প্রাচী, তানভীন সুইটি, হৃদি হক, আশনা হাবিব ভাবনা, জ্যোতিকা জ্যোতি, সাজু খাদেম, সোহানা সাবা, চন্দন রেজা, সংগীতশিল্পী শুভ্র দেব, নির্মাতা মুশফিকুর রহমান গুলজার, এস এ হক অলিক, খোরশেদ আলম খসরুসহ অনেকে।