টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সাকিবপরবর্তী অধ্যায় শুরু করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। কেননা ইতোমধ্যে এই ফরম্যাটে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন সাকিব। আগামীকাল গোয়ালিয়রে ভারতের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি- টোয়েন্টি সিরিজের মাধ্যমে সাকিববিহীন বাংলাদেশের পথচলা শুরু হবে। বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত বলেছেন, সাকিব না থাকায় তাদের একাদশ সাজাতে তাদের একটু অসুবিধাই হবে। তবে সাকিবের জায়গা খুব তাড়াতাড়ি পূরণ করার চেষ্টা করবে মিরাজ।
সাকিব অবসরে যাওয়ায় একাদশ গঠন করাটা কিছুটা কঠিনই হবে। কেননা সাকিব দলে থাকলে বাড়তি একজন ব্যাটসম্যান কিংবা বোলারকে খেলানোর প্রয়োজন হতো না। শান্ত বলেন, ‘সাকিব ভাই এতদিন ছিল, এখন একটা অ্যাডজাস্টমেন্টে সমস্যা বলব না, ১১ জন সাজাতে একটু অসুবিধা হবে। উনি দুই দিক থেকে- বোলিং ও ব্যাটিংয়ে দারুণ একটা কম্বিনেশন দিতেন। মিরাজকে দলে নিয়ে আসা হয়েছে। আশা করি, মিরাজ চেষ্টা করবে ওই জায়গাটি খুব তাড়াতাড়ি পূরণ করার।’
আসন্ন সিরিজে কী আগ্রাসী ব্যাটিং দেখা যাবে? শান্ত বলেন, ‘টপ অর্ডারদের শুরুতে ভালো করাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আসলে উইকেটে কত রান প্রয়োজন, যদি আমরা আগে ব্যাটিং করি, ওই অনুযায়ী ব্যাটিং করাটাই গুরুত্বপূর্ণ। কোনো দিন ১৪০ কিংবা কোনো দিন ১৮০ হতে পারে। এই অনুযায়ী ব্যাটসম্যানরা ব্যাটিং করবে বলে মনে করি।’
এদিকে সিনিয়র পাঁচ ক্রিকেটারদের মধ্যে একমাত্র মাহমুদউল্লাহ রিয়াদই বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি দলে আছেন। তার বয়স ৩৯ এর কাছাকাছি। পারফরম্যান্সও শ্রীহীন। ভারতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে তাকে দলে রাখায় প্রশ্ন উঠেছে। ভারতের বিপক্ষে সিরিজই এই অভিজ্ঞ অলরাউন্ডারের শেষ সিরিজ হতে পারে। এ প্রসঙ্গে শান্ত বলেছেন, ‘রিয়াদ ভাইয়ের ব্যাপারটা অবশ্যই আমি যতটুকু বুঝতে পারি এই সিরিজ তার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং হয়তো উনি নির্বাচকের সঙ্গে কথাও বলবেন। সুতরাং এ বিষয়ে আমি খুব একটা পরিষ্কার না। কিন্তু আমার মনে হয় যে, অবশ্যই নির্বাচক ও বোর্ডের সঙ্গে একটা আলোচনা তো হবেই।’ তিনি আরও বলেন, ‘এখন পর্যন্ত এ ব্যাপারে আমরা কোনো আলোচনায় যাইনি (শেষ সিরিজ কিনা)। কিন্তু হয়তো সামনের দিকে হবে কিনা…। এখন এই আলোচনায় যেতেও চাই না, কারণ সিরিজ শুরু হচ্ছে।’