পাঁচ বছর আগেই শেষ হয়েছে দিনাজপুরের দীঘিপাড়া কয়লা খনির সম্ভাব্যতা যাচাই। তবে খনি চালুর বিষয়টি এখনও জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায়। জনপ্রতিনিধিরা বলছেন, খনি চালু হলে এলাকায় কর্মসংস্থানের পাশাপাশি জ্বালানি আমদানিতে দেশের বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা বাঁচবে।
দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ ও হাকিমপুর উপজেলায় বিস্তৃত দীঘিপাড়া কয়লা খনি। ১৯৯৫ সালে আবিষ্কৃত খনিটিতে পাওয়া গেছে ৭০৬ মিলিয়ন টন উন্নতমানের বিটুমিনাস কয়লার মজুত। ২০০৫ সালে খনি উন্নয়নে লাইসেন্স দেওয়া হয় পেট্রোবাংলাকে। খনিটির উন্নয়ন ও তদারকির দায়িত্বে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি কর্তৃপক্ষ। জরিপ কাজ ও সম্ভাব্যতা যাচাই শেষ হয় ২০১৯ সালে। এরপর আর এগোয়নি কোনো কার্যক্রম। বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির এমডি সাইফুল ইসলাম জানান, খনিতে ৭০৬ মিলিয়ন টন উন্নত জাতের বিটুমিনাস কয়লা মজুত আছে। সকল ধরনের ফিজিবিলিটি স্টাডি সম্পন্ন হয়েছে। সরকারের নির্দেশনা পাওয়া গেলে পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহন করা হবে।দীঘিপাড়া খনি থেকে কয়লা উত্তোলনের পক্ষে জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয়রা। তবে স্থানীয়দের ক্ষতিপূরণ ও পরিবেশগত দিক বিবেচনার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছেন তারা।
এলাকাবাসী বলছেন, এ জমি সরকার কিনে নিলে এলাকাবাসী লাভবান হবে।এ খনি চালু করার জন্য সরকারের কাছে অনুরোধ করেন নবাবগঞ্জের পুটিমারা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আনিছুর রহমান।দিঘীপাড়া থেকে কয়লা উত্তোলন শুরু হলে এলাকার উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান তৈরিতে ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য শিবলী সাদিক। এই দাবি সংসদেও তুলেছেন তিনি। দেশে এখন পর্যন্ত কয়লা খনি আবিষ্কৃত হয়েছে পাঁচটি। এরমধ্যে কয়লা উত্তোলন হচ্ছে শুধু দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়ায়।