নতুন করে বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্নে বিভোর দেশের জনগণ। বিশেষ করে তরুণ সমাজ। ছাত্র-জনতার গণ-আন্দোলনের মুখে গেল ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন শেখ হাসিনা। সরকার পতনের পর ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে গঠিত হয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
বিগত সরকারের আমলে সকল দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে কাজ করছেন তারা। পরিবর্তন আসছে দেশের সকল গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলোতে। সচেতন হচ্ছে সমাজের সাধারণ জনগণও। ঘুষ, দুর্নীতি, চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলছেন তারাও। ফলে বর্তমান প্রেক্ষাপটে অনেকটাই কমে আসছে অনিয়ম-দুর্নীতি।
এদিকে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেরে দীর্ঘ একমাস বন্ধ থাকার পর আজ সোমবার থেকে সেবা কার্যক্রম শুরু করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। সেখানে গিয়ে সুন্দর এক অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছেন ‘আয়নাবাজি’খ্যাত বরেণ্য নির্মাতা অমিতাভ রেজা চৌধুরী। আর সেই অভিজ্ঞতা তিনি তুলে ধরেছেন ফেসবুকে।
নির্মাতার কথায়, ‘বিআরটিএ গেলাম আজ। পাঁচ মিনিটে কাজটা হয়ে গেল। সবাই নিয়ম মতো কাজ করছে মনে হলো, দৃশ্যত কোনো দালাল জাতীয় মাল দেখা গেল না। ভালোই লাগল। কিন্তু সমস্যা, হলো সবার মন খারাপ। কারণ হয়তো একটাই, তাদের প্রতিদিনের যে উপরিটা পেত, যেটা দিয়ে বাজার করে নিয়ে যেত পাঙ্গাশ মাছটা কিংবা ছেলের জন্য আইসক্রিম কেক, সে কেকটা মনে হয় আপতত হচ্ছে না।’
অমিতাভ রেজা আরও বলেন, ‘মানবিক মর্যাদা নিয়ে বাঁচার জন্য তাদের যে বেতন আর দ্রব্যমূল্য- তার কোনো মিল নাই। মিল নাই ৫০০ কোটি ডলারের, হাজার কোটি টাকার লুট। তাই ট্রাফিক জ্যাম দেখে মন খারাপ কইরেন না। ন্যায় বিচার আর সামাজিক মর্যাদার পক্ষে থাকেন। বেশি জ্যামে পরলে আয়নাঘরের বিবরণ শুনেন, দেখবেন হা হুতাশ করবেন না, জ্যামও এখন ভালো লাগবে।’