রংপুরের মিঠাপুকুরে জামাইকে শ্বশুরবাড়ির লোকজন মারধর করার সময় ঝগড়া থামাতে গিয়ে প্রতিবেশী সোহান মিয়া (২৫) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর দীর্ঘ চারঘণ্টার প্রচেষ্টায় সেনাবাহিনী ও রিজার্ভ ফোর্সের সহায়তায় অবরুদ্ধ তিন অভিযুক্তসহ মোট চারজনকে পুলিশ তাদের হেফাজতে নেয় এবং সোহানের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য উদ্ধার করা হয়।
নিহত যুবক উপজেলার লতিবপুর ইউনিয়নের পাইকান গ্রামের মৃত. শাহাজাহান আলীর ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানান, মিঠাপুকুর উপজেলার পাইকান গ্রামের মোহাম্মদ আলীর সঙ্গে পার্শ্ববর্তী জারুল্যাবাজ গ্রামের আব্দুস সালামের মেয়ে সাদিয়ার প্রায় ৯ মাস পূর্বে বিয়ে হয়। বিয়ের পর মোহাম্মদ আলী দাবি করেন, তার স্ত্রী সাদিয়া চোখে দেখেন না। এই নিয়ে ওই দম্পতি এবং উভয় পরিবারের মাঝে মনোমালিন্যের সৃষ্টি হয়। এরই জেরে শুক্রবার জামাই আলাীর বাড়িতে তার শ্বশুরসহ স্থানীয় লোকজন আসেন। বিকেলের দিকে আলীর শ্বশুর আলোচনার একপর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে জামাইকে চড়-থাপ্পড় মারতে শুরু করেন। এসময় আলীর চিৎকার শুনে এগিয়ে যান প্রতিবেশী সোহান। এসময় বিচারে আসা লোকজন সোহানের ওপর চড়াও হয় এবং সোহানকে কিল ঘুষি মারেন। এতে সোহান ঘটনাস্থলেই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন, অজ্ঞান হয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক সোহানকে মৃত ঘোষণা করেন।
সোহানের মৃত্যুর বিষয়টি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে শত-শত জনতা ওই এলাকায় উপস্থিত হয়ে বিচারে আসা আলীর শ্বশুর আব্দুস ছালাম, সাদিয়াসহ তিনজনকে অবরুদ্ধ করে রাখেন। পরে তাদেরকে প্রায় চার ঘণ্টা পর উত্তেজিত জনতার হাত থেকে উদ্ধার করা হয়। এসময় এক শিশুকেও পুলিশ জিম্মিদশা থেকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
এ বিষয়ে মিঠাপুকুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বক্কর সিদ্দিক সমকালকে বলেন, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা ঘটনাস্থলে যায়। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। এ বিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন।