টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে নিজেকে যেন হারিয়ে খুঁজছিলেন সাকিব আল হাসান। দীর্ঘ ১৯ ইনিংসে ছিল না কোনো ফিফটি। বিশ্বকাপের প্রথম দুই ম্যাচে আউট হয়েছেন দুই অঙ্কের রানে পৌঁছানোর আগেই। বল হাতেও ছিলেন নিষ্প্রভ। তাই চারদিক থেকে সমালোচানয় বিদ্ধ হচ্ছিলেন বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার।শ্রীলংকা ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ব্যর্থ হওয়ার পর সাকিবকে রীতিমতো ধুইয়ে দিয়েছেন ভারতের সাবেক ওপেনার বীরেন্দর শেবাগ। ক্রিকেটভিত্তিক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে শেবাগ বলেছিলেন, লজ্জা থাকলে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়া উচিত সাকিবের। সব সমালোচনার জবাব বোধ হয় নেদারল্যান্ডস ম্যাচের জন্যই জমিয়ে রেখেছিলেন সাকিব। বল হাতে উইকেট না পেলেও ব্যাট হাতে খেললেন ম্যাচজয়ী ইনিংস। ৪৬ বলে ৬৪ রান করে দলকে এনে দেন ১৫৯ রানের শক্ত ভিত্তি। সেই ভিত্তির ওপরই জয় তুলে সুপার এইটের পথ মসৃণ করে বাংলাদেশ। দারুণ পারফরম্যান্সের স্বীকৃতিস্বরূপ নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ম্যান অব দ্য ম্যাচও হয়েছেন সাকিব। পুরস্কার নেওয়ার সময় উঠে আসে বীরেন্দর শেবাগের সেই মন্তব্যের প্রসঙ্গও। সাকিবকে বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করলেও পাত্তা দেননি বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার। সাকিবের উত্তর, ‘আমি কাউকে উত্তর দেওয়ার জন্য ক্রিকেট খেলি না। আমার মনে হয়, ক্রিকেট খেলায় ব্যাটারদের কাজ ব্যাটিং করা, রান করা। বোলারদের কাজ উইকেট নেওয়া। ফিল্ডারদের কাজ ভালো ফিল্ডিং করা, ক্যাচ নেওয়া।’নিজের পারফরম্যান্স যা-ই হোক না কেন, দল কেমন করল সেটাই মূল বিষয় সাকিবের কাছে, ‘টি-টোয়েন্টিতে কেউ ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স নিয়ে অতটা ভাবে না। দলে কতটুকু অবদান রাখা গেল, এটাই মূল কথা। টি-টোয়েন্টি ম্যাচে প্রথম চার ব্যাটারদের কারও ১৬-১৭ ওভার ব্যাটিং করাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ, আজ আমি তা করতে পেরেছি বলে খুশি।’