Skip to content

শিক্ষার্থীদের ‘টোকাই’ বলা সেই আ.লীগ নেতার দেশত্যাগ

    শিক্ষার্থীদের ‘টোকাই’ বলা সেই আ.লীগ নেতার দেশত্যাগprothomasha.com

    মৌলভীবাজারের জুড়ীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক, শিক্ষার্থী ও অন্তর্বর্তী সরকারকে ‘টোকাই, অভদ্র, বেয়াদব’ বলে সমালোচিত সেই আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এমএ মোঈদ ফারুক গ্রেফতার আতঙ্কে দেশ ছেড়ে হল্যান্ড পালিয়েছেন।

    সোমবার হল্যান্ড সময় দুপুর ১টায় তিনি সেখানে পৌঁছেছেন বলে তার পারিবারিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। এমএ মোঈদ ফারুক হল্যান্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি।

    শনিবার জুড়ী তৈয়বুন্নেছা খানম একাডেমি সরকারি ডিগ্রি কলেজে সাবেক প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট এবাদুর রহমান চৌধুরী শিক্ষা ও সেবা ফাউন্ডেশন আয়োজিত ২০২৪ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত কৃতী শিক্ষার্থী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের ও অন্তর্বর্তী সরকারকে ‘টোকাই, অভদ্র ও বেয়াদব’ আখ্যা দিলে সমালোচনার ঝড় ওঠে।

    ৩ নভেম্বর সন্ধ্যায় যুগান্তরের অনলাইন সংস্করণে ‘অন্তর্বর্তী সরকার নিয়ে আ. লীগ নেতার যে বক্তব্য ভাইরাল’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ হলে দেশজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়। এমএ মোঈদ ফারুকের বক্তব্যের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হলে উপজেলা বিএনপি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কসহ ছাত্র-জনতার পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ ও তার গ্রেফতারের দাবি উঠে।

    এরপর পুলিশ ও যৌথবাহিনী এমএ মোঈদ ফারুকের বাড়িতে অভিযান চালায়। যেকোনো সময় গ্রেফতার হতে পারেন- এমন তথ্য লোকমুখে ছড়িয়ে পড়ার কারণেই তড়িঘড়ি তিনি দেশ ছেড়ে হল্যান্ড পালিয়েছেন।

    এমএ মোঈদ ফারুকের মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তার ছোটভাই এমএ মুজিব মাহবুব জানান, ৪ নভেম্বর তিনি (আওয়ামী লীগ নেতা এমএ মোঈদ ফারুক) হল্যান্ড পৌঁছেছেন। এমএ মোঈদ ফারুক সব সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের পক্ষে ছিলেন; কিন্তু ওই দিনের অনুষ্ঠানে কেন তিনি এমন মন্তব্য করলেন, এতে আমরা মর্মাহত। এমন মন্তব্য করে তিনি আমাদের পরিবারকে কলঙ্কিত করেছেন।