রোজার যেমন মানসিক উপকারিতা রয়েছে, তেমনই শারীরিক উপকারিতাও রয়েছে। দিনের বেলায় কম খাদ্য গ্রহণের ফলে স্বাস্থ্য সম্পর্কিত বিভিন্ন সমস্যা দূর হয়। সাধারণ সময়ে অনেকের দু-বেলা গ্যাসের ওষুধ খেতে হয়। আবার থাইরয়েডের ওষুধেও রয়েছে সতর্কতা।তাই অনেকেই জানতে চান রমজানে কোন সময় ওষুধ খেতে হবে।বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাধারণত পেপটিক আলসারের ট্রিটমেন্টের জন্য তিন ধরনের ওষুধ ব্যবহার করা হয়। একটা হলো ওমিপ্রাজল। ওমিপ্রাজল খাবারের আগে খাওয়া হয়। তবে কিছু কিছু ব্র্যান্ডের ওষুধ আছে, যেগুলো খাওয়ার আগেও খাওয়া যায়, খাওয়ার পরেও খাওয়া যায়। তবে এটা মনে রাখতে হবে, এটা সময় লাগে।
আবার এন্টাসিড খেলে সাথে সাথে উপশম হবে। সেটা খাওয়ার আগেও খাওয়া যায়, খাওয়ার পরেও খাওয়া যায়। যখন সমস্যা হবে, তখনই খেতে হবে।ফাস্টিং সম্পর্কে চিকিৎসকরা বলছেন, এসময় সাধারণত আমরা চেষ্টা করা হয় লং অ্যাক্টিং ড্রাগস দিতে। সেখানে ওষুধের ডোজ কমিয়ে নতুনভাবে শিডিউল করা হয়। ব্লাড প্রেশার মনিটরিং তো অবশ্যই করা হবে। সাধারণত ডোজটা কম হয়, সেটা সেহরির সময় খেতে পারে।তবে ড্রাগসের মধ্যে যদি ডাইরুটিকস থাকে, মানে যে ওষুধে প্রস্রাবের পরিমাণ বাড়াবে, সেই ওষুধটা সেহরির সময় দেয়া হয়। সেহরির সময় দেয়া হয় কারণ ঘুমটা যেন নষ্ট না হয়।
আরেকটি বিষয়, যাদের থাইরয়েডের সমস্যা রয়েছে, তারা অনেকেই সকালে ওষুধ গ্রহণ করে থাকেন। সেই ওষুধ তারা কখন গ্রহণ করবেন? এ বিষয়ে জানা যায়, অ্যান্টি-থাইরয়েড ড্রাগস খালি পেটে খেতে হয়। খালি পেটে খেলে তার কার্যকারিতা বেশি হয়। সে ক্ষেত্রে ঘুম থেকে উঠে ওষুধটা খেয়ে আধা ঘণ্টা পরে সেহরি খেতে পারি।