Skip to content

রাতে কার্পেটিং, উঠে গেল সকালে

    রাতে কার্পেটিং, উঠে গেল সকালে prothomasha.com

    ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে রাতের আঁধারে পাকা রাস্তার সিল কোড (হালকা কার্পেটিং) কাজ করার অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে। বৃষ্টির মধ্যে দায় সারা কাজ করায়- পরদিন সকাল থেকেই জুতার সঙ্গে উঠে যাচ্ছে সিল কোড করা সেই রাস্তার কার্পেটিং। এ নিয়ে অভিযোগ করার পরও প্রতিকার পাচ্ছে না এলাকাবাসী।

    জানা গেছে, উপজেলার চন্ডিপুর-বাঘমারা পাকা সড়কের বিভিন্ন স্থানে কার্পেটিং উঠে গেলে সেই রাস্তা সংস্কারের উদ্যোগ নেয় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর। প্রায় ১৪ লাখ টাকায় ওই রাস্তার এক কিলোমিটার অংশে ১৫ মিলিমিটার সিল কোড (হালকা কার্পেটিং) করার কাজ পান জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার আব্দুস সামাদ নামে এক ঠিকাদার। নিয়ম না মেনে বাস্তবায়নকারী দপ্তরকে ম্যানেজ করে গত ২৯ জুন রাতে বৃষ্টির মধ্যে সেই রাস্তায় সিল কোডের কাজ করেন ঠিকাদারের লোকজন। পরদিন সকালে এলাকার লোকজন ওই রাস্তা দিয়ে হাঁটার সময় জুতার সঙ্গে উঠে আসে সিল কোড করা নতুন কার্পেটিং। এ অনিয়মের বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ করা হয় উপজেলা প্রকৌশলীর কাছে। তবে অভিযোগের এক সপ্তাহেও এ নিয়ে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

    বাঘমারা গ্রামের মোহাম্মদ আলী, খতিবউদ্দীনসহ বেশ কয়েকজন জানান, ওইদিন রাতে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছিল। তখন ঠিকাদারের লোকজন রাস্তার কাজ করে। দু-একজন বাধা দিলেও তারা শোনেনি। পরদিন সকালে দেখা যায় জুতার সঙ্গে কার্পেটিং উঠে যাচ্ছে। এরপর গত কয়েক দিনে রাস্তার বেশির কার্পেটিং উঠে গেছে। উপজেলা চেয়ারম্যান ও ইঞ্জিনিয়ারের কাছে এ নিয়ে অভিযোগ করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত তারা কোনো পদক্ষেপ নেননি।

    এ অভিযোগের বিষয়ে জানতে ফোন দেওয়া হয় ঠিকাদার আব্দুস সামাদ মোবাইলে। তিনি বলেন, ‘বৃষ্টির কারণে কাজটা নষ্ট হয়ে গেছে। ঠিক করে দেওয়া হবে।’উপজেলা প্রকৗশলী মাঈদুল ইসলাম বলেন, ‘রাতের আঁধারে কাজ করা অন্যায়। বৃষ্টির কারণে কাজ খারাপ হয়েছে। এটি ঠিক করে দেওয়ার জন্য ঠিকাদারকে বলা হয়েছে।’উপজেলা চেয়ারম্যান আখতারুল ইসলাম বলেন, ‘এলাকার লোকজন বিষয়টি আমাকে জানিয়েছেন। বিষয়টি ভালভাবে দেখার জন্য উপজেলা ইঞ্জিনিয়ারকে বলা হয়েছে।’