রাতভর চেষ্টায় অবশেষে নিয়ন্ত্রণে এসেছে মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার সুপারবোর্ড কারখানার আগুন। তবে এখনও পুরোপরি আগুন নেভেনি। রোববার (২৪ মার্চ) বিকেল থেকে ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করলেও বর্তমানে আগুন নির্বাপনে কাজ করছে ৬টি ইউনিট।গজারিয়া ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের ইনচার্জ রিফাত মল্লিক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, প্রায় ১৪ ঘণ্টা ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিটের প্রচেষ্টায় রাত ৩টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে এখনও গোডাউনের ভেতরে বোর্ড ও বোর্ড তৈরির সরঞ্জামে আগুন জ্বলছে। যা পুরোপুরি নিভাতে সময় লাগবে। ফায়ার সার্ভিসের ৬টি ইউনিট কাজ করছে। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ও আগুন লাগার কারণ তিনি জানাতে পারেননি।
রোববার (২৪ মার্চ) দুপুর ১টার দিকে সুপারবোর্ড ফ্যাক্টরিতে লাগা ওই আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট কাজে যোগ দেয়। লাগাতার চেষ্টায় ও প্রবল বৃষ্টির সুবাদে সন্ধ্যার দিকে আগুন কিছুটা সহনীয় পর্যায়ে আসে। পুরোপুরি নিভিয়ে ফেলা সম্ভব হয়নি। এতে সুপারবোর্ড কারখানায় কয়েক কোটি টাকার মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এদিকে আগুনের ঘটনার কারণ উদ্ঘাটনে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রধান করে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসন। কমিটিকে ৭ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।রিফাত মল্লিক আরও জানান, আগুন লাগা সেই গোডাউনে বিপুল পরিমাণ কাঠের গুঁড়া ও পাটের খড়ি দিয়ে তৈরি সুপারবোর্ডের বড় বড় স্তূপ ও বোর্ড তৈরির সরঞ্জাম থাকায় আগুন দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে। আগুন একটি শেডের কিছু অংশে সীমাবদ্ধ করে রাখতে সক্ষম হয়েছে ফায়ার সার্ভিস। এ আগুন আর ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা নেই। গোডাউনের ভেতরের স্তূপ আকারে রাখা মালামালগুলোতে মূলত এখনও আগুন জ্বলছে।উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে এই ফ্যাক্টরিতে আরেকদফা আগুন লেগেছিল। যা পুরোপুরি নেভাতে সময় লেগেছিল ৫ দিন।