Skip to content

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার আবেদন নেওয়া শুরু ৫ জানুয়ারি

    রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার আবেদন নেওয়া শুরু ৫ জানুয়ারিprothomasha.com

    রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষে ভর্তি পরীক্ষার প্রাথমিক আবেদন আগামী ৫ জানুয়ারি নেওয়া শুরু হবে। চলবে ১৬ জানুয়ারি রাত ১২টা পর্যন্ত। এ ছাড়া চূড়ান্ত আবেদন ২০ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়ে ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিভিন্ন ধাপে সম্পন্ন হবে। প্রথমবারের মতো রাজশাহীসহ মোট পাঁচটি বিভাগীয় শহরের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় এবারের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

    বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এবার ‘বি’ ইউনিটের ১২ এপ্রিল, ‘এ’ ইউনিটের ১৯ এপ্রিল ও ‘সি’ ইউনিটের ২৬ এপ্রিল ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিটি পরীক্ষা বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত রাজশাহী, ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা ও রংপুরে অবস্থিত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হবে। গত বছরের মতো এবারও দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ থাকছে।

    মানবণ্টন

    এমসিকিউ পদ্ধতিতে ১০০ নম্বরের এক ঘণ্টাব্যাপী ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষায় প্রতি ইউনিটে ৮০টি প্রশ্ন থাকবে। প্রতি চারটি ভুলের জন্য এক নম্বর কাটা যাবে। ভর্তি পরীক্ষায় পাস নম্বর ৪০।

    আবেদন ফি

    প্রাথমিক আবেদন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ৫৫ টাকা। চূড়ান্ত আবেদন ফি ‘বি’ ইউনিটের (বাণিজ্য) জন্য ১ হাজার ১০০ টাকা এবং ‘এ’ ইউনিট (মানবিক) ও ‘সি’ ইউনিটের জন্য ১ হাজার ৩২০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

    আবেদনের যোগ্যতা

    ২০২৩ ও ২০২৪ সালের এইচএসসি বা সমমান, ডিপ্লোমা-ইন-কমার্স, বিএফএ (প্রাক), বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের আওতায় এইচএসসি ভোকেশনাল এবং ও-লেভেল সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরাই ভর্তি পরীক্ষার জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা তিন ইউনিটেই যোগ্যতা অনুযায়ী আবেদন করতে পারবেন। ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থী যে ইউনিটেই আবেদন করুক না কেন, তিনি যে শাখা থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন, সেই শাখার জন্য নির্ধারিত যোগ্যতা তাঁর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে।

    ভর্তির জন্য মানবিক ও বাণিজ্য শাখা থেকে উত্তীর্ণ আবেদনকারীদের এসএসসি/সমমান ও এইচএসসি/সমমান উভয় পরীক্ষায় চতুর্থ বিষয়সহ ন্যূনতম জিপিএ-৩সহ মোট জিপিএ–৭.০০ এবং বিজ্ঞান শাখায় ন্যূনতম জিপিএ–৩.৫০ সহ মোট জিপিএ–৮ থাকতে হবে। জিসিই ‘ও’ লেভেল পরীক্ষায় পাঁচটি বিষয়ে এবং ‘এ’ লেভেল পরীক্ষায় অন্তত দুটি বিষয়ে উত্তীর্ণ হতে হবে। উভয় লেভেলে মোট সাতটি বিষয়ের মধ্যে চারটি বিষয়ে কমপক্ষে ‘বি’ ও তিনটি বিষয়ে কমপক্ষে ‘সি’ গ্রেড পেতে হবে। ইংরেজি প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা দিতে ইচ্ছুক প্রার্থীকে চূড়ান্ত আবেদনকালে অবশ্যই ইংরেজি প্রশ্নপত্রের জন্য অতিরিক্ত ফরম পূরণ করতে হবে। এ ছাড়া ইউনিট, বিভাগ ও ইনস্টিটিউটের আরোপিত শর্তও প্রযোজ্য হবে।

    কোটায় এবারও ভর্তি

    ভর্তি পরীক্ষায় মুক্তিযোদ্ধার নাতি-নাতনিদের কোটা বাতিল করা হয়েছে। তবে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য ৫ শতাংশ কোটা রাখা হয়েছে। পোষ্য কোটা ১ শতাংশ কমিয়ে ৩ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে।

    ইউনিটের অনুষদ

    ভর্তির জন্য ‘এ’ (মানবিক) ইউনিটে আছে কলা, আইন, সামাজিক বিজ্ঞান, চারুকলা অনুষদ এবং শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট। ‘বি’ (বাণিজ্য) ইউনিটে আছে ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ এবং ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউট। ‘সি’ (বিজ্ঞান) ইউনিটে আছে বিজ্ঞান, কৃষি, প্রকৌশল, জীববিজ্ঞান, ভূবিজ্ঞান, ফিশারিজ এবং ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমেল সায়েন্সেস অনুষদ।

    ভর্তিসংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট থেকে পাওয়া যাবে।