‘অসাংগঠনিক’ ও ‘শৃঙ্খলাবিরোধী’ কর্মকাণ্ডের অভিযোগ এনে টিভি নাটক নির্মাতাদের সংগঠন ডিরেক্টরস গিল্ড থেকে পদত্যাগ করেছেন ‘বাপজানের বায়োস্কোপ’ সিনেমার নির্মাতা রিয়াজুল রিজু। রোববার সংগঠনটির সভাপতি বরাবর তিনি পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন।
এর আগে গত ১০ জুলাই সংগঠনের ২৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে কেক কাটার সময় কয়েকজনের ‘অশ্লীল নাচ’ করার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এ ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে তুমুল সমালোচনার মুখে পড়ে এই সংগঠনটি।জানা যায়, এ ঘটনার বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ার কারণেই মূলত আইন ও কল্যাণবিষয়ক সম্পাদকের পদ থেকে অব্যাহতি নেন রিয়াজুল রিজু।
এ প্রসঙ্গে গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘এই সংগঠন আমাদের সকল নাট্যনির্মাতার প্রাণের সংগঠন। যদি ব্যক্তি কোনো পোস্টে থাকে, তবু আঙুলটা সংগঠনের দিকেই উঠবে এবং প্রশ্নবিদ্ধ হবে, এটাই স্বাভাবিক। যে বা যারা পোস্টে থাকে, তাদের কাজকর্মে আরও বেশি সংযত হওয়া উচিত।
রিয়াজুল রিজু আরও বলেন, ‘ব্যক্তিগতভাবে কার সঙ্গে কে কীভাবে কখন পার্টি করলেন, সেটা দেখার বিষয় নয়। কিন্তু যখন সংগঠনের অনুষ্ঠান, তখন অনেক বেশি সচেতন থাকা উচিত। কারণ ৮০০ মেম্বারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে আপনাকে, তাদের অধিকার বা সম্মান খর্ব করার জন্য নয়।‘তিনি আরও যোগ করেন, ‘ওই ঘটনায় সংগঠনের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছিলো। আমি সভাপতি ও সেক্রেটারিকে দুই এক দিনের মধ্যে একটি প্রেস রিলিজ দেওয়ার আহ্বান জানাই। কিন্তু তারা বিষয়টা কর্ণপাত করেননি। এ কারণে আমি পদত্যাগ করেছি।‘
এর পরদিন সোমবার রিয়াজুল রিজু নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি স্ট্যাটাস দেন। তিনি তার পোস্টে লিখেছেন, ‘১৪ জুলাই ডিরেক্টরস গিল্ডের আইন ও কল্যাণবিষয়ক সম্পাদক পদ থেকে আমি পদত্যাগ করেছি। কার্যনির্বাহী কমিটির সঙ্গে এখন থেকে আমার আর কোনও সম্পৃক্ততা নেই। অতএব সাংবাদিক ভাইবোন এবং ডিরেক্টরস গিল্ডের সন্মানীত সদস্যগণ সাংগঠনিক কোনও বিষয়ে আমাকে আর ফোন না করার জন্য অনুরোধ করছি।‘নির্মাতা রিয়াজুল রিজুর পদত্যাগের বিষয়ে ডিরেক্টরস গিল্ড বাংলাদেশ’এর সাধারণ সম্পাদক এস এম কামরুজ্জামান সাগর বলেন, ‘বিষয়টি আমি স্যোশাল মিডিয়ায় দেখেছি। এখনও দাপ্তরিকভাবে কোনো চিঠি পাইনি।‘