পাঁচ নভেম্বরের নির্বাচনে ডেমোক্রেটদের বিপক্ষে ভূমিধ্বস বিজয় অর্জন করে আরও একবার হোয়াইট হাউসে প্রত্যাবর্তন করলেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ও রিপাবলিকান নেতা ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে তার প্রশাসনের সমর্থনে যেমন বন্ধু আছে, তেমনি প্রতিপক্ষও কম নেই।
যাদের মোকাবিলা করেই বর্তমান বিশ্বের বুকে নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব জানান দিতে হবে ট্রাম্প। এই প্রতিপক্ষের তালিকায় যেমন রয়েছে ইরান-চীন, তেমনি আছে প্রবল প্রতাপশালী রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়া। এদেরকে কিভাবে সামলাবেন নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট?
বৃহস্পতিবার মস্কোতে এ বিষয়ে কথা বলেছেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ।
তিনি বলেন, ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের অধীনে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য চীনকে ঠেকানো একটি প্রধান অগ্রাধিকার হতে পারে। তবে মার্কিন প্রশাসন রাশিয়াকে ‘বর্তমানকালের হুমকি’ হিসেবেই দেখে।
টেলিভিশন উপস্থাপক মারিনা কিমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ল্যাভরভ বলেন, ‘চীনকে নিয়ন্ত্রণে আনার কাজটি জো বাইডেনের প্রশাসনের উদ্যোগেই শুরু হয়েছে। আমার ধারণা, এটি ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের অধীনেও অগ্রাধিকার থাকবে। আর রাশিয়া সব সময়ের জন্যই হুমকি। ওয়াশিংটন চায় না, রাশিয়া তার শক্তিশালী ভূমিকা প্রমাণ করুক বা পশ্চিমের ভাবমূর্তি নষ্ট করুক’।
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো- তাদের নিজেদের ভাবমূর্তি। বাস্তব জীবনে জনগণের ভবিষ্যৎ নিয়ে তাদের কোনো পরোয়া নেই, বিশেষত ইউক্রেনের জনগণের জন্য।
‘তারা ইউক্রেনকে নিয়ে চিন্তিত নয়, বরং তারা তাদের প্রতিশ্রুতির প্রতি বিশ্বস্ত থাকতে চায়’ উল্লেখ করে ল্যাভরভ বলেন, একবার তারা বলেছে যে ইউক্রেনে এই সরকার থাকবে। কিন্তু কেউ যখন এর বিরোধিতা করেছে, তখন তারা বলছে, ‘রাশিয়া! বড় দেশ বটে। তবে একে নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে’।
এসবই ইউক্রেনের জনগণের ভবিষ্যৎ নিয়ে নয়, বরং তাদের নিজেদের ভাবমূর্তি ধরে রাখার জন্যই, যোগ করেন ল্যাভরভ। সূত্র: তাস