রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ফের ভয়াবহ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।বাড়ির সবাইকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে লুটপাট চালায় ডাকাত দল বুধবার (২৭ নভেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে তিনটায় মোহাম্মদপুরের চাঁদ উদ্যান লাউতলা এলাকার ৮ নম্বর রোডের ১০ নম্বর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় বাড়ির কেয়ারটেকার মোহাম্মদপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। জানা যায়, বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টায় ৩০-৪০ জনের একটি দল দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে টিনশেড বাড়িটিতে মই দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করে। এ সময় বাড়ির ভেতরে থাকা সিসি ক্যামেরাগুলো ভেঙে ধারাল অস্ত্র দিয়ে সবাইকে একটা রুমের ভেতর জিম্মি করে ফেলে। পরে প্রতিটি রুমে ঢুকে ফ্রিজ, টিভি, বৈদ্যুতিক সেলাই মেশিন, স্বর্ণালংকারসহ আসবাবপত্র সব নিয়ে ভাঙচুর চালায় ডাকাত দলের সদস্যরা।
বাড়ির কেয়ারটেকারের দায়িত্বে থাকা নাসিমা বেগম বলেন, গতকাল রাত সাড়ে তিনটার দিকে আমার ঘরে ১০-১৫ জন লোক দেশীয় ধারাল অস্ত্র নিয়ে প্রবেশ করে আমাকে জিম্মি করে ফেলে। এরপর আমার রুমের আলমারি, র্যাক, টিভিসহ সব ভাঙচুর করে টাকাপয়সা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়। এ সময় আমাদের সবাইকে বাড়ির একটা রুমের ভেতর আটকে তালা লাগিয়ে দেয়। বাড়িতে থাকা পাঁচজন ভাড়াটিয়া সবার ঘরে প্রবেশ করে সবকিছু লুটপাট করে নিয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, আমার অনেক কষ্টের জমানো টাকায় অন্য জায়গায় কেনা বাড়ির দলিলের কাগজপত্র ও নগদ টাকা সবকিছু নিয়ে আমাকে পথের ভিখারি বানিয়ে গেছে ডাকাতদল।
আরেক ভাড়াটিয়া কুলসুম শিকদার বলেন, আমার ঘরে ঢুকে ফ্রিজ, বৈদ্যুতিক সেলাই মেশিন, স্বর্ণালংকার ও টাকা পয়সা সবকিছু নিয়ে গেছে। এছাড়াও ঘরের ভেতরে থাকা চাল, ডাল আসবাবপত্র সবকিছু নিয়ে গেছে। অবশিষ্ট আর কোনো কিছু রেখে যায়নি।
একই কথা জানান চাঁদনী আক্তার, রিণা বেগম ও আবেদা খাতুন নামের ভাড়াটিয়া।ডাকাত দলের সদস্যরা বাড়ির দুই গেটে তালা লাগিয়ে ভাড়াটিয়াদের ভেতরে আটকে রেখে সব মালামাল গাড়িতে করে নিয়ে চলে যায়।
বাড়ির মালিক আল মীনা বেগম বলেন, আজ (বৃহস্পতিবার) ভোর ৫টার দিকে আমার বাড়ির লোকজন আমাকে ফোন দিয়ে জানায় আমার বাড়িতে ডাকাতি হয়েছে। বাড়িতে ঢুকে সব ভাড়াটিয়ার টাকা-পয়সা, স্বর্ণালংকারসহ সব আসবাবপত্র নিয়ে গেছে। আমি খবর পেয়ে দ্রুত বাড়িতে এসে দেখি বাড়িতে থাকা সিসি ক্যামেরা ভেঙে রেখে গেছে ডাকাত দলের সদস্যরা। এ ঘটনায় আমার বাড়ির ম্যানেজার মোহাম্মদপুর থানায় গিয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। আমি এ ঘটনায় জড়িতদের আটক করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সর্বোচ্চ সহায়তা চাই।
এ বিষয়ে মোহাম্মদপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হাফিজুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে আমরা খোঁজ নিয়ে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা নিচ্ছি।