শরীয়তপুরের নড়িয়ায় সুমাইয়া আক্তার (১৫) নামের নবম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। মেয়ের মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে ভেঙে ফেলায় সুমাইয়া আত্মহত্যা করেছে বলে দাবি মায়ের। আজ রবিবার দুপুর ১টার দিকে উপজেলার ঘড়িষার ইউনিয়নের বাড়ৈপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত সুমাইয়া বাড়ৈপাড়া গ্রামের ইমান হোসেন মোল্লার মেয়ে এবং পন্ডিতসার শহীদ নজরুল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী।
পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, নারায়নগঞ্জের তালহা নামের একটি ছেলের সঙ্গে সুমাইয়ার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। প্রেমিকের সঙ্গে ফোনে কথা বলা নিয়ে মা ইসমতারা বেগমের সঙ্গে শনিবার রাতে বাকবিতণ্ডা হয় সুমাইয়ার। এক পর্যায়ে সুমাইয়ার ব্যবহ্নিত ফোনটি ভেঙে ফেলেন মা ইসমতারা। রবিবার সকালে ইসমতারা স্থানীয় হাসপাতালে যান এবং সুমাইয়ার ছোট দুই ভাই ও বোন স্কুলে যায়। এ সময় সুমাইয়া ঘরের আড়ার সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দেয়। প্রতিবেশীরা সুমাইয়াকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ এসে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে।
নিহত সুমাইয়ার মা ইসমতারা বলেন, ‘একটি ছেলের সঙ্গে রং নম্বরে পরিচয় হয়ে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে সুমাইয়া। রাত জেগে সেই ছেলের সঙ্গে কথা বলতো সুমাইয়া। এ নিয়ে গতকাল রাতে আমার সঙ্গে সুমাইয়া কথা কাটাকাটি করে। আমি ওর মোবাইল ভেঙে ফেলি। আজ সকালে আমি বড় মেয়েকে নিয়ে হাসপাতালে যাই। এ সময় সুমাইয়া গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। নড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে এটি আত্মহত্যা। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল মার্গে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।