মেহেরপুরে এই প্রথম কৃষি অফিসের সহযোগীতায় এবার রঙিন ফুলকপি চাষ করে করা হয়েছে। বাহারী রঙ্গের এই ফুলকপি চাষ এলাকায় চাষিদের নজর কেড়েছে। সাদা ফুলকপির চেয়ে এই রঙিন ফুলকপিতে পুষ্টিগুণ বেশি। দেখতেও সুন্দর। গতানুগতিক সাদা রঙের ফুলকপির চেয়ে রঙিন ফুলকপির বাজারমূল্য বেশি। ফলে লাভবান চাষি।মেহেরপুর জেলায় এই প্রথম সদর উপজেলার হিজুলী গ্রামের চাষি রইজউদ্দীন কৃষি অফিসের সহযোগীতায় নিরাপদ সবজি উৎপাদনের আওতায় ২০ শতাংশ জমিতে চাষ করেন রঙ্গিন জাতের ফুলকপি। একটি ফুলকপির রং গোলাপি, অপরটির হলুদ। বাহারি গোলাপি রঙের ফুলকপির নাম ভ্যালেন্টিনা আর হলুদ রঙের ফুলকপির নাম ক্যারোটিনা।
চাষি রইজ উদ্দীন জানান, তার ২০ শতাংশ জমিতে খরচ হয়েছে ২০ হাজার টাকা। যেখানে সাধারন ফুল কপি বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে ১৫ টাকা সেখানে তিনি রঙ্গিন ফুলকপি বিক্রি করছেন প্রতিটি ৪০ থেকে ৫০ টাকায়। এতে সাধারন ফুলকপির চেয়ে দ্বিগুনেরও বেশি লাভ করছে চাষি।এই ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আশরাফুল ইসলাম জানান, ‘প্রথমবার রইজ উদ্দীন বাহারি রঙের ফুলকপি চাষ করে সফল হয়েছেন। এলাকার অন্য কৃষকদের মাঝে বেশ আগ্রহ তৈরি করেছে। রঙিন ফুলকপিতে ভিটামিন এ, সি, কে, ফলিক অ্যাসিড, ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, এন্টিঅক্সিডেন্টসহ মানবদেহে উপকারী বিভিন্ন উপাদান আছে। আশা করা যাচ্ছে, আগামীতে রঙিন ফুলকপি চাষ অনেকটাই বাড়বে।’
বাহারী রঙ্গের এই ফুলকপি চাষ এলাকায় চাষিদের নজর কেড়েছে। এই কপির বীজ চাষিদের নাগালে থাকলে আগামীতে ব্যপক চাষ হবে বলে আশাবাদি এলাকার কপি চাষীদের।সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন যায়যায়দিনকে জানান, ফুলকপির জাত দুটি পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ। রঙিন এই ফুলকপিতে আছে বিটা ক্যারোটিন, যা শরীরে ভিটামিন এ-তে পরিণত হয়। আগামীতে এই রঙ্গিন ফুলকপি চাষ বৃদ্ধিতে চাষিদের উদ্বুদ্ধের পাশাপাশি বিভিন্ন সহযোগীতা করছে কৃষি বিভাগ।