আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণের লক্ষ্য ও শর্ত বাস্তবায়নের পথেই রয়েছে বাংলাদেশ। মুদ্রানীতি সংকোচনমূলক করা হয়েছে। ফলে কমে আসছে সার্বিক মূল্যস্ফীতি। তবে মূল্যস্ফীতি আরও কমাতে নানা ব্যবস্থা নিতে হবে। যত দ্রুত মূল্যস্ফীতি কমিয়ে আনা যাবে, বাংলাদেশের জন্য তা ততই ভালো হবে। সংস্থাটির এশিয়া ও প্যাসিফিক বিভাগের পরিচালক কৃষ্ণা শ্রীনিবাসন গতকাল বুধবার আঞ্চলিক অর্থনৈতিক আউটলুক প্রকাশনা উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন। জাপানের টোকিও থেকে বাংলাদেশ সময় সকাল আটটায় অনলাইনে এ ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশের সঙ্গে আইএমএফের ৪৭০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণের চুক্তি হয় গত বছরের ৩০ জানুয়ারি। সাত কিস্তিতে সাড়ে তিন বছরে ঋণের এ অর্থ দেবে আইএমএফ। এর মধ্যে দুই কিস্তির অর্থ পেয়েছে বাংলাদেশ। দুই কিস্তির অর্থ পেতে আইএমএফের কিছু শর্ত পূরণও করা হয়েছে। ব্রিফিংয়ে শ্রীনিবাসনের কাছে গতকাল প্রশ্ন ছিল, ঋণ লক্ষ্য ও শর্ত পরিপালনের ঠিক পথে বাংলাদেশ আছে কি না। জবাবে শ্রীনিবাসন বলেন, দুই মাস আগে ঋণ কর্মসূচি নিয়ে আইএমএফের একটা পর্যালোচনা বৈঠক হয়। তা সন্তোষজনক ছিল। সেই ভিত্তিতে এ কথা বলা যায় যে বাংলাদেশ এ কর্মসূচি বাস্তবায়নের ঠিক পথেই আছে। যদিও কিছু বিষয়ে বাংলাদেশ ভালো করতে পারেনি। যেমন নির্বাচনের কারণে আর্থিক হিসাব এখনো নেতিবাচক বা ঋণাত্মক। তবে চলতি হিসাব ধীরে ধীরে ভালো হচ্ছে। নির্বাচন শেষ হয়ে যাওয়ায় অনিশ্চয়তাও কেটে যাবে। তাতে আর্থিক হিসাব টেকসই অবস্থায় ফিরে আসবে বলে আশা করা যায়।