Skip to content

মিরাজের কাছে এই জয় ‘অনেক বড় পাওয়া’

    মিরাজের কাছে এই জয় ‘অনেক বড় পাওয়া’prothomasha.com

    এবার হার দিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ শুরু করেছিল বাংলাদেশ। অবশেষে তাইজুল ইসলামের ঘূর্ণিতে ১৫ বছর পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে টেস্ট ম্যাচ জিতেছে বাংলাদেশ। মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) জ্যামাইকার কিংস্টনের স্যাবাইনা পার্কে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে বাংলাদেশ তুলে নিয়েছে ১০১ রানের ব্যবধানে বড় জয়। এতে সিরিজ শেষ করেছে ১-১ সমতায় টাইগার বাহিনী।

    নিয়মিত অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত চোটের কারণে দলে না থাকায় এই সফরে অধিনায়ক ছিলেন মিরাজ। স্বাভাবিকভাবেই প্রথম অ্যাসাইনমেন্টেই দেশের বাইরে থেকে একটি টেস্ট জিতে আসা তার ক্যারিয়ারেই অন্যতম সেরা সাফল্যগুলোর একটি।

    নেতৃত্বের দ্বিতীয় টেস্টেই এমন একটি জয়, সেটিও ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে গিয়ে, মিরাজের কাছে এটা বিশাল প্রাপ্তি। ম্যাচ শেষে সাবিনা পার্কে বসে মিরাজ বললেন, ‘খুবই ভালো লাগছে। প্রথম ম্যাচে হারার পর দ্বিতীয় ম্যাচ জিততে পেরেছি, এটা অবশ্যই আমার জন্য বড় একটা অজর্ন। যেহেতু আমি প্রথম অধিনায়কত্ব করছি, এটা আমার জন্য বড় একটি পাওয়া ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে।’

    ম্যাচ শেষে তাই নিজের তৃপ্তির কথা বলছিলেন মিরাজ, “এটা আমার জন্য অনেক বড় পাওয়া। প্রথম ম্যাচ হেরে দ্বিতীয় ম্যাচ জিতলাম। আমি প্রথম নেতৃত্ব দিচ্ছি। ওই দিক থেকে এটা আমার অনেক বড় অর্জন।

    জয়ের সব কৃতিত্ব খেলোয়াড়দের দিয়ে মিরাজ বলেছেন, ‘জয়ের কৃতিত্ব সব ক্রিকেটারদের দিতে চাই। যেভাবে আমি বলেছি, চেয়েছি ঠিক সেভাবেই পারফর্ম করেছে। সবাই মন থেকে চেয়েছিল ম্যাচটা জিততে। উদগ্রীব ছিল ফিরে আসার জন্য। এজন্যই আমরা জিততে পেরেছি।’

    মিরাজের মতে বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংস ম্যাচে ফিরিয়েছে তাদের। ইতিবাচক মানসিকতায় এসেছে সাফল্য, ‘যখন আমরা দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে যাই একটা কথা বলেছিলাম যে এ উইকেটে ইতিবাচক ক্রিকেট না খেললে কঠিন। যেহেতু আমরা ১৮ রানের লিড পেয়েছি আমাদের রান দরকার ছিল। আমরা জানতাম এ উইকেটে ২৫০ রান করলে ম্যাচটা জেতে সহজ হবে।’

    দ্বিতীয় ইনিংসে মুমিনুল অসুস্থ হয়ে পড়লে তিন নম্বরে ব্যাট করার জন্য উপযুক্ত কাউকে পাওয়া যাচ্ছিল না। ব্যাটিংয়ে এই পজিশন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এখানেও দলকে উজ্জীবত করার পথ বের করেন মিরাজ। বাংলাদেশ অধিনায়ক এই সুযোগটা দেন তরুণ শাহাদাত হোসেন দিপুকে। মিরাজ বলেছেন এই তরুণের ২৮ রান আত্মবিশ্বাস ছড়িয়েছে, ‘সৌরভ ভাই যখন অসুস্থ হয়ে যায় তখন দলের মনোবল ভেঙ্গে পড়েছিল কারণ ওই পজিশনে ব্যাট করা কঠিন। তো দিপুকে সুযোগটা দেওয়ায় সে রাজি হয়। আমি ওকে বলেছিলাম যে খুব ইতিবাচক ক্রিকেট খেলবে। এমন যদি হয় প্রথম বল থেকে মারতে হবে সেটাও ঠিক আছে।’

    দ্বিতীয় ইনিংসে নিজের ৩৯ বলে ৪২ রানের ইনিংসকেও কৃতিত্ব দিলেন মিরাজ, ‘আমি যখন চার নম্বরে গেলাম, একই মানসিকতা নিয়ে খেললাম। কারণ এই উইকেট রানটা খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল এবং ক্রিকেটারদের প্রতি এই বার্তা ছিল যে, একটি রানও অনেক গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিটি ব্যাটসম্যান যেন রানের জন্য খেলে। আমরা এই পরিকল্পনাতেই খেলেছি।’