২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রথমবারেরর সংসদ সদস্য হন ক্রিকেটার মাশরাফি বিন মুর্তজা। ওই সময়ে বাংলাদেশ দলের অধিনায়কের দায়িত্ব ছিল এই ক্রিকেটারের কাঁধে। সবশেষ ২০২৪ সালের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আবারও সংসদ সদস্য পদে নির্বাচিত হন তিনি। এবার নির্বাচন করে জয়ী হন বর্তমানে জাতীয় দলে খেলা সাকিব আল হাসানও।খেলোয়াড় থাকা অবস্থায় মাশরাফি ও সাকিব সংসদ সদস্য হওয়ায় নানা দিক থেকেই ছিল সমালোচনা। সম্প্রতি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে টিকতে না পেরে দেশ ছেড়েছেন শেখ হাসিনা। ফলে বিলুপ্ত হয় মাশরাফি ও সাকিবের সংসদ সদস্য পদ।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শুরু থেকেই সরব ছিলেন জাতীয় দলে খেলা আরেক ক্রিকেটার নুরুল হাসান সোহান। তিনিই তুলে আনলেন একই সঙ্গে রাজনীতি ও ক্রিকেট খেলার প্রসঙ্গ। মাশরাফি ও সাকিবকে নিয়ে সরাসরি কিছু না বললেও এই দুজনের সঙ্গেই মিলে যায় সোহানের বক্তব্য। আজ রবিবার মিরপুরে অনুশীলন শেষে সংবাদমাধ্যমকে সোহান বলেন, ‘সক্রিয়ভাবে রাজনীতি করলে জাতীয় দলে কখনোই খেলা উচিত নয়। রাজনীতি অনেক বড় একটা ব্যাপার। রাজনীতির মাঠে থাকলে জাতীয় দলে সেরকম সময় দেওয়া কঠিন। কারো যদি রাজনীতি করার ইচ্ছা থাকে, তাহলে তার খেলা থেকে অবসর নেওয়ার পর করা উচিত।’
গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পরই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনকে। আত্মগোপনে বেশিরভাগ পরিচালকও। এসব পরিচালকরা বেশিরভাগই ছিলেন আওয়ামীপন্থী।’সোহানের বক্তব্যে উঠে এল এই প্রসঙ্গও, ‘ক্রিকেট বোর্ডে ভালো সংগঠকদের আসা উচিত। ক্রিকেট বোর্ড ব্যক্তিগত এজেন্ডা বাস্তবায়নের জায়গা না। এখানে এসে মোটা অঙ্কের টাকা আয় করে দেশ ছেড়ে চলে যাবেন, এমন ব্যক্তিদের বোর্ডে না আসাই ভালো।’