Skip to content

মার্চে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে লেনদেন ১ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা

    মার্চে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে লেনদেন ১ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা prothomasha.com

    মোবাইল ব্যাংকিং সেবা গ্রহণ করে আর্থিক লেনদেন ও গ্রাহকের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। হাতে মোবাইল ফোনে ঘরে বসেই অ্যাকাউন্ট খোলা হচ্ছে। ফলে শহর থেকে গ্রামে লেনদেনের সুবিধা বাড়ছে। এছাড়া কেনাকাটা, বিল পরিশোধ, ঋণ নেওয়াসহ নতুন নতুন সেবা যুক্ত করা হচ্ছে। বিদেশ থেকে রেমিট্যান্স আসছে। এতে মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসে (এমএফএস) মানুষের আগ্রহের পাশাপাশি নির্ভরতাও বাড়ছে।

    বাংলাদেশ ব্যাংক সম্প্রতি মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেসের (এমএফএস) হালনাগাদ পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে। দেখা গেছে, বিকাশ, রকেট, ক্যাশের মতো মোবাইল ব্যাংকিং সেবায় চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ১ লাখ ৩০ হাজার ১৪০ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। এই সংখ্যাটি এখন পর্যন্ত দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেকর্ড লেনদেন। এর আগে এক মাসে সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছিল গত বছরের জুনে ১ লাখ ৩২ হাজার ১৭৫ কোটি টাকা।

    এদিকে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে লেনদেনে গ্রাহকের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। বর্তমানে বিকাশ, রকেট, ইউক্যাশ, মাই ক্যাশ, শিওর ক্যাশসহ বিভিন্ন নামে প্রায় ১৩টি ব্যাংক ও প্রতিষ্ঠান এমএফএস সেবা প্রদান করছে। 2024 সালের ফেব্রুয়ারিতে, মোবাইল ব্যাংকিংয়ে নিবন্ধিত গ্রাহকের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২২ কোটি ১৪ লাখ ৭৮ হাজার। গ্রাহক সংখ্যা বেশি হওয়ার কারণ হল অনেক গ্রাহক একাধিক সিম ব্যবহার করছেন। লেনদেনের সুবিধার্থে একাধিক সিম অ্যাকাউন্ট খোলা।

    এসব নিবন্ধিত অ্যাকাউন্টের মধ্যে পুরুষ গ্রাহক ১২ কোটি ৮৭ লাখ ৮৬ হাজার এবং মহিলা ৯ কোটি ২৩ লাখ ৪৭ হাজার। আলোচিত সময়ে মোবাইল ব্যাংকিং এজেন্টের সংখ্যা ১৭ লাখ ৫৪ হাজার ৭২৩ জনে পৌঁছেছে। এখন গ্রাহক সহজেই ঘরে বসে ডিজিটাল কেওয়াইসি (গ্রাহক তথ্য) ফর্মটি পূরণ করতে পারেন এবং ঝামেলামুক্ত পদ্ধতিতে MFS পরিষেবা প্রদানকারীর সাথে একটি অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন। বাংলাদেশ ব্যাংক ২০১০ সালে মোবাইল ব্যাংকিং চালু করে। ৩১ মার্চ, ২০১১ তারিখে, বেসরকারি খাতের ডাচ-বাংলা ব্যাংক দ্বারা মোবাইল ব্যাংকিং পরিষেবা চালু করার মাধ্যমে দেশে মোবাইল আর্থিক পরিষেবার যাত্রা শুরু হয়। এরপর বিকাশ ব্র্যাক ব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা চালু করে। বর্তমানে দেশের সিংহভাগ মোবাইল ব্যাংকিং সেবা বিকাশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তারপর ‘নগদ’ এর অবস্থান।