নিউজিল্যান্ড সফরে যাওয়া দক্ষিণ আফ্রিকা দলটিকে দেশটির ‘এ’ দল বললেও ভুল হবে। জাতীয় দল তো বটেই, জাতীয় দলের আশপাশে থাকা ক্রিকেটাররাও দেশটির ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ নিয়ে ব্যস্ত। এসএ টি-টোয়েন্টিতে ডাক না পাওয়া সব ক্রিকেটারদের নিউজিল্যান্ডে পাঠিয়েছে প্রোটিয়ারা। মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে এই অনভিজ্ঞ দলকে ২৮১ রানে হারিয়ে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে স্বাগতিকরা।
টেস্টের প্রথম দুইদিনে দারুণ সব রেকর্ড হয়েছে। নিউজিল্যান্ডের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে টেস্টে নিজের প্রথম সেঞ্চুরিতে সর্বোচ্চ রানের ইনিংসটি ছিল ম্যাথিউ সিনক্লেয়ারের (২১৪)। ২৫ বছর আগের সে রেকর্ডকে দুইয়ে ঠেলে দিয়েছেন রাচিন রবীন্দ্র (২৪০)। আবার টেস্ট অভিষেকেই অধিনায়কত্ব করা নিল ব্র্যান্ড ভেঙেছেন নাঈমুর রহমান দুর্জয়ের রেকর্ড। অভিষেক টেস্টে ভারতের বিপক্ষে অধিনায়ক দুর্জয় ১৪৫ রানে নিয়েছিলেন ৬ উইকেট। অভিষেকেই দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়কত্ব পাওয়া ব্র্যান্ড ১১৯ রানে পেয়েছেন ৬ উইকেট।
সে তুলনায় আজ চতুর্থ দিনটা একটু সাদামাটা কেটেছে। দিনের খেলা শুরু হওয়ার আগে ইনিংস ঘোষণা করে নিউজিল্যান্ড। তৃতীয় দিন শেষে ৪ উইকেটে ১৭৯ রান করা স্বাগতিক দলের লিড ততক্ষণে ৫২৮।বিশ্বরেকর্ড গড়ার লক্ষ্য পেয়ে শুরুটা বেশ খারাপ হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার। ১৯ বলের মধ্যেই দুই ওপেনার বিদায় নেন। তৃতীয় উইকেট জুটিতে জুবায়ের হামজা (৩৬) ও রেইনার্ড ফন টন্ডর (৩১) মিলে ৬৩ রান এনে দেন।
কিন্তু মধ্যাহ্নবিরতির পর কাইল জেমিসন দুজনকেই ফিরিয়ে দেন। ডেভিড বেডিংহাম প্রতিআক্রমণ করলে চা-বিরতি পর্যন্ত আর উইকেট হারায়নি দক্ষিণ আফ্রিকা। তাঁর ৯৬ বলে ১৩ চার ও ৩ ছক্কায় ৮৭ রানে ৪ উইকেটে ১৭৩ রানে পৌঁছে যায় দলটি। কিন্তু বিরতির পর জেমিসন আবার জোড়া আঘাত করেন। এরপর রুয়ান ডি সোয়ার্ট ৩৪* চেষ্টা করছিলেন প্রতিরোধের। কিন্তু অন্যপ্রান্তের ব্যাটসম্যানরা স্যান্টনারকে সামলাতে পারেননি। ২৪৭ রানে থামে সফরকারীরা। ৫৮ রানে ৪ উইকেট পেয়েছেন জেমিসন, ৫৯ রানে ৩ উইকেট স্যান্টনারের।সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট শুরু হবে আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি। সে ম্যাচ না হারলেই প্রায় এক শ বছর ধরে চেষ্টার পর দক্ষিণ আফ্রিকাকে সিরিজে হারাতে পারবে নিউজিল্যান্ড।