যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার একমাত্র মধ্যপন্থি সদস্য বেনি গানৎজ পদত্যাগ করায় ইসরায়েলের সরকার আরও চাপের মুখে পড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় সামরিক অভিযান ও হিজবুল্লাহের সঙ্গে সংঘাতের মাঝে নেতানিয়াহু নতুন করে সমস্যার মুখে পড়লেন।স্থানীয় সময় রবিবার ইসরায়েলের জরুরি যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন বেনি গানৎজ। তিনি বলেন, ‘নেতানিয়াহু আমাদের প্রকৃত বিজয়ের দিকে অগ্রসর হতে বাধা দিচ্ছেন। এই কারণেই আমরা আজ জরুরি সরকার ছেড়ে যাচ্ছি।’
ওই সময় আগাম নির্বাচনের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এমন একটি নির্বাচন হওয়া উচিত যা এমন একটি সরকার গঠন করবে, যে সরকার জনগণের আস্থা অর্জন এবং চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে সক্ষম হবে। আমি নেতানিয়াহুকে আহ্বান জানাই, সবার মতামতের ভিত্তিতে নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করুন।’গাজায় চলমান সামরিক অভিযান নিয়ে নেতানিয়াহু দেশে-বিদেশে প্রবল চাপের মুখে রয়েছেন। বিশেষ করে অভ্যন্তরীণ রাজনীতির কারণে তার সরকারের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়ছে।
এখনই সরকার পতনের আশঙ্কা না থাকলেও নেতানিয়াহুকে এবার জোটের কট্টরপন্থি সদস্যদের উপর আরো বেশি নির্ভর করতে হবে। ফলে সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ সহযোগী দেশ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দূরত্ব আরও বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। নেতানিয়াহু নিজের সরকারের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার স্বার্থে মার্কিন প্রশাসনের অনেক চাপ উপেক্ষা করার চেষ্টা করে চলেছেন।
এ ছাড়া লেবানন সীমান্তের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর সঙ্গে আরো তীব্র সংঘাতের আশঙ্কা ইসরায়েলে অস্থিরতা সৃষ্টি করছে। হামাসের কাছ থেকে জিম্মিদেরউদ্ধারে ইসরায়েলে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ চলছে।
ইসরায়েলের একাধিক সামরিক কর্মকর্তার মতো গানৎজও গাজায় সামরিক অভিযানের সমাপ্তির পর কোনো রাজনৈতিক সমাধানসূত্রের পরিকল্পনার অভাবের সমালোচনা করে আসছিলেন। ৮ই জুনের মধ্যে তিনি নেতানিয়াহুর কাছে এক রাজনৈতিক সমাধানসূত্রের খসড়া দাবি করেছিলেন। রবিবার এক সংবাদ সম্মেলনে গানটস বলেন, ‘নেতানিয়াহু আমাদের প্রকৃত জয়ের দিকে এগোনোর পথে বাধা সৃষ্টি করছেন। তাই ভারাক্রান্ত মনে আমাদের মন্ত্রিসভা ত্যাগ করতে হচ্ছে।’