চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলায় রাতের আঁধারে ঘরে ঢুকে এক বৃদ্ধা ও তার নাতিকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আরও একজন গুরুতর আহত হয়েছেন। তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেকে) নেওয়া হয়েছে।সোমবার দিবাগত রাত ১টার দিকে উপজেলার ২ নম্বর বাকিলা ইউনিয়নের রাধাসা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। হাজীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রশিদ এ সব তথ্য জানান।
নিহতরা হলেন– মৃত সিরাজ উদ্দিনের স্ত্রী হামিদুন্নেছা (৬৫) ও তার নাতি আরাফাত হোসেন (১৪)। আহত হয়েছেন হামিদুন্নেছার নাতনি হালিমা আক্তার মিম। মিম শ্রীপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী। আরাফাত একই বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র ছিল। নিহত বৃদ্ধার ছোট ছেলের স্ত্রী জানান, হামিদুন্নেছার তিন ছেলে প্রবাসী। তিন ছেলের স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে তিনি ওই বাড়িতে বসবাস করতেন। সোমবার রাতে নাতি-নাতনিদের নিয়ে তার হামিদুন্নেছা ঘুমিয়ে পড়েন। এ সময় বোরকা পরে এক যুবক দরজা ভেঙে ঘরে ঢোকে। ঘরে থাকা লোকদের এলোপাতাড়ি কুপিয়ে পালিয়ে যায় সে। এতে ঘটনাস্থলে হামিদুন্নেছা নিহত হন। হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নেওয়া হলে আরাফাত হোসেনকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
আবদুল গণি নামে একজন বলেন, হত্যার পেছনে দুইটি কারণ থাকতে পারে। একটি মিমকে উত্যক্ত করার প্রতিবাদ করেছে পরিবার। অন্যটি গ্রামের কয়েকজন ভাড়াটিয়া লোক দিয়ে তাদের হত্যার হুমকি দিয়েছে। ইউপি সদস্য মো. অরুণ বলেন, রাতে হত্যাকাণ্ডের খবর পেয়ে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পরিবারে তিন পুরুষ সদস্য প্রবাসে থাকে। হামিদুন্নেছাকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। তার নাতি-নাতনিকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করা হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পর একজন মারা যায়।
ওসি বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ও পুলিশের তদন্ত টিম কাজ করছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হাজীগঞ্জ সার্কেল) পঙ্কজ কুমার দে বলেন, হত্যার পেছনে যে কারণ থাকতে পারে সেই সূত্র ধরে তদন্ত কাজ চলছে।