ঘড়ির কাঁটায় ঠিক সকাল ৯টা। কুষ্টিয়া দৌলতপুর উপজেলার পিএসএস মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র। এখানে সাতটি বুথে নারী ও পুরুষেরা ভোট দিচ্ছেন। ৫ নম্বর বুথে গিয়ে দেখা যায়, কক্ষের বেঞ্চে উল্টোভাবে বসে আসেন একজন প্রার্থীর এজেন্ট; নাম আসমা সুলতানা। জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে আছেন তিনি। জিজ্ঞেস করতেই মৃদু হেসে জানালেন, ‘ভোটার আসছে কি না তা দেখছি। এক ঘণ্টায় এই বুথে একটি ভোটও পড়েনি।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেল ৫ নম্বর এই বুথে নারীদের ৩৯৩ জন ভোটার ভোট দেওয়ার কথা রয়েছে। বুথের দায়িত্বরত সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা জিয়াউল হক সুমন জানালেন, হয়তো নারীরা বাড়ির কাজকর্ম নিয়ে ব্যস্ত, এ জন্য আসতে পারেননি। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটাররা আসবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। কয়েকজন কর্মকর্তা ও বিভিন্ন প্রার্থীদের এজেন্টের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, তাঁদের অতীতের অভিজ্ঞতায় এক ঘণ্টায় বুথে একটি ভোটও পড়েনি, এমনটি তাঁরা কখনো দেখেননি।
কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা বদর উদ্দিন জানালেন, এই কেন্দ্রে ভোটার ২ হাজার ৪৮০ জন। সকাল ৮টা থেকে ৯টা পর্যন্ত সাতটি বুথে ১২টি ভোট পড়েছে। সাতটি বুথ ঘুরে দেখা গেল নির্বাচনে দায়িত্বরত কর্মকর্তারা বসে আছেন ভোটারের অপেক্ষায়। কেন্দ্রের ভেতরে ও বাইরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও বসে আছেন।
দৌলতপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দুজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। একজন হলেন উপজেলা যুবলীগের সভাপতি বুলবুল আহমেদ চৌধুরী। অপরজন উপজেলা শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক আনিসুর রহমান। বুলবুল কুষ্টিয়া–১ দৌলতপুর আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য রেজাউল হক চৌধুরীর ছোট ভাই।