ব্যবহারকারীরা ভার্চ্যুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক (ভিপিএন) বন্ধ করলে ইন্টারনেটের গতি বাড়বে বলে দাবি করেছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। আজ বুধবার বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনে (বিটিআরসি) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোর প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ দাবি করেন তিনি। ইন্টারনেটের গতি বাড়বে কবে, জানতে চাইলে তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সিদ্ধান্ত হচ্ছে, সম্পূর্ণ গতি বৃদ্ধি করা। এজন্য ভিপিএন ব্যবহার বন্ধ করা, স্থানীয় ক্যাশ সার্ভার চালু করাসহ ইন্টারনেটের গতি বাড়ানোর জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে।’
জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘আমরা ইন্টারনেটে কোনো রেস্ট্রিকশন রাখিনি, কোনো বাধা রাখিনি। আমাদের টেকনিক্যাল পারসনরা বলেছেন যে, ভিপিএন ব্যবহারের ফলে ইন্টারনেট ব্যবহার প্রায় ৫ হাজার শতাংশ বেড়েছে। যারা ভিপিএন ব্যবহার করছেন তারা অন্য দেশের নেটওয়ার্ক ব্যবহার করছেন। ফলে বিদেশে ব্যান্ডউইথের ব্যবহার বেড়ে যাচ্ছে। এটা অন্যতম কারণ ইন্টারনেট স্লো থাকার।’
ভিপিএন ব্যবহারে সাইবার ঝুঁকি বাড়ছে দাবি করে তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ভিপিএন অ্যাপ্লিকেশনগুলো আমরা ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান যারাই ব্যবহার করি না কেন, আমাদের নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ পরামর্শ দিয়েছে যে ভিপিএন ব্যবহার করা মানেই হচ্ছে ডেটা ঝুঁকির মধ্যে পড়া। সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ পরামর্শ দিয়েছে যেন আমরা গণমাধ্যমে ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা সরকারের সব পর্যায়ে এই বার্তা পৌঁছে দেই যে, ভার্চ্যুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক অ্যাপ্লিকেশনগুলো ব্যবহার করা আমাদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।’
বৈঠকে ফেসবুক, টিকটক, ইউটিউব কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যেসব কথা হয়েছে তা জানিয়ে জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘আমরা টিকটক, ফেসবুক ও ইউটিউবের কাছে ব্যাখ্যা চেয়ে মৌখিক ও লিখিতভাবে জানিয়েছিলাম। টিকটক আমাদের যে জবাব দিয়েছে তাতে আমরা সন্তুষ্ট।’তিনি বলেন, ‘আগামী দিনে আরও দায়িত্বশীল থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ফেসবুক। বাংলাদেশে যে ফ্যাক্ট চ্যাকিং প্রতিষ্ঠান ফেসবুকের হয়ে কাজ করছে, তারা স্বাধীনতাবিরোধীদের দ্বারা প্রভাবিত, সে জন্য ফেসবুক বৈষম্যমূলক আচরণ করছে।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বৈঠকে গুজব অপপ্রচার বন্ধে ভবিষ্যতে সরকারকে সর্বোচ্চ সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে এই তিন প্লাটফর্ম।’উল্লেখ্য, গত ১৮ জুলাই থেকে দেশে ইন্টারনেট সংযোগ বিঘ্নিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীতে ব্রডব্যান্ড ও মোবাইল ইন্টারনেট চালু হলেও স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার সম্ভব হচ্ছে না।