Skip to content

ভারত প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে প্রভুসুলভ আচরণ করছে: মির্জা ফখরুল

    ভারত প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে প্রভুসুলভ আচরণ করছে: মির্জা ফখরুল prothomasa.com

    ভারত সবসময়ই প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে প্রভুসুলভ আচরণ করে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং তাদের সশস্ত্র বাহিনীকে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকতে বলার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি এ মন্তব্য করেন।আজ সোমবার বেলা ১১টায় জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানানো শেষে তিনি এসব কথা বলেন।মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আসলে ভারত তার পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর সঙ্গে যে রাজনীতি এবং আচরণ করে সেটা কোন প্রেক্ষিতে কিভাবে করছেন সেটা তারাই ভালো বুঝেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমরা দেখতে পারছি, শুধু বাংলাদেশ নয়, পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর সঙ্গেও ভারতের সম্পর্ক খুব একটা ভালো না। এর প্রধান কারণ যেটা আমার কাছে মনে হয়, ভারত সবসময়ই একটা প্রভুত্ব রাজনীতি এই দেশগুলোর সঙ্গে করছে। যেটা ভারতের জন্য শুভ কিছু বয়ে আনবে না।’তিনি বলেন, ‘পারস্পরিক সন্মানের ভিত্তিতে, মর্যাদার ভিত্তি, পারস্পরিক স্বার্থের ভিত্তিতে এই সম্পর্ক গড়ে তোলা উচিত বলে আমরা মনে করি।’

    দেশের পরিস্থিতি নিয়ে ফখরুল বলেন, ‘দীর্ঘ প্রায় ১৬ বছরের ফ্যাসিবাদী আওয়ামী শাসনের হাত থেকে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে দেশ মুক্ত হয়েছে। এই বিপ্লবে দেশের অসংখ্য ছাত্র-জনতা, এমনকি নারী ও শিশু প্রাণ দিয়েছেন। এই গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে নারীদের যে অবদান, সেটাকে আমরা কখনোই অস্বীকার করতে পারবো না।’তিনি বলেন, ‘আজকে মহিলা দল তাদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে শপথ নিয়েছে যে, স্বাধীনতা অর্জন করা হয়েছে- এই স্বাধীনতাকে সুসংহত করবার জন্য, গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করবার জন্য এবং দেশে আইনের শাসন, জনগণের শাসন প্রতিষ্ঠা করবার জন্য তারা তাদের সংগ্রামকে অব্যাহত রাখবে।’বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘একই সঙ্গে আমরা বিশ্বাস করি, দেশে খুব শিগগিরই আজকে যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, যারা জনগণের রায় ও মতামতের ওপর শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে যত দ্রুত সম্ভব সংস্কারগুলোকে সম্পন্ন করে দেশে নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ক্ষমতা জনগণের হাতে তুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করবে।’এক প্রশ্নের জবাবে ফখরুল বলেন, ‘আমরা বারবার করে বলেছি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দুইবার দেখা করেছি। প্রতিবারই আমরা বলেছি, যে সংস্কারগুলো করতে চান, সেগুলো জনগণের সামনে তুলে ধরা এবং সেটার সময় নির্ধারণ করা। যাতে করে সুনির্দিষ্ট একটা যৌক্তিক সময়ের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে জনগণের ক্ষমতা জনগণের হাতে তুলে দেওয়া যেতে পারে, সেজন্য আমরা তাকে অনুরোধ করেছি।’সংগঠনের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হেলেন জেরিন খানের নেতৃত্বে নেতা-কর্মীদের নিয়ে শেরে বাংলা নগরে জিয়াব সমাধিস্থলে আসেন বিএনপি মহাসচিব। পরে প্রয়াত নেতার কবরে পুস্পমাল্য অর্পণ এবং আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।এই সময়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান ও অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেনসহ মহিলা দলের কয়েক’শ নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।উল্লেখ্য, ১৯৭৮ সালে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের পর জিয়াউর রহমান ৯ সেপ্টেম্বর জাতীয়তাবাদী মহিলা দল প্রতিষ্ঠা করেন।