বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের অভিযোগে ছাত্রলীগের সাবেক নেতা ফুয়াদ হোসেন শাহাদাতের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক এক নেত্রী। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার নারী শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৫ এর বিচারক মো. শামসুল ইসলামের আদালতে মামলা করেন তিনি।আজ আদালত মামলার বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে হাজারীবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করার নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার অভিযোগে জানা যায়, ভুক্তভোগী ইডেন মহিলা কলেজে ফাইন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগে ভর্তি হন। ২০১৪ সালে বান্ধবীদের নিয়ে তিনি টিএসসিতে আড্ডা দিতে যান। সেখানে গিয়ে ফুয়াদ হোসেনের সঙ্গে পরিচয় হয় তার। পরে তারা ফোন নম্বর আদান-প্রদান করেন। তাদের ফোনে কথাবার্তা হয়। তারা বিভিন্ন জায়গা একসঙ্গে ঘোরাফেরা করেন। এ সময় তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ২০১৬ সালের ২১ আগস্ট তারা কক্সবাজার ঘুরতে যান। সেখানে গিয়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ভুক্তভোগীকে ধর্ষণ করেন ফুয়াদ। পরদিন তারা শরীয়াহ মোতাবেক বিয়ে করেন।
অভিযোগে আরও বলা হয়, ২০১৯ সালে ভুক্তভোগী প্রেগন্যান্ট হয়ে পড়লে ফুয়াদকে ফোন/হোয়াটসঅ্যাপে বিষয়টি জানান। ফুয়াদ বিষয়টি জানার পর ভুক্তভোগীকে বাচ্চা নষ্ট করার কথা বলেন। ভুক্তভোগী এতে রাজি না হলে ওই বছরের ২৩ নভেম্বর রাতে ভুক্তভোগীকে বাচ্চা নষ্ট হওয়া ঔষধ জুস সঙ্গে মিশিয়ে খেতে দেওয়া হয়। জুস খাওয়ার পরে ভুক্তভোগী অসুস্থ হয়ে পড়লে তার বাচ্চা নষ্ট হয়ে যায়। পরে ফুয়াদ ভুক্তভোগীকে বিয়ের রেজিস্ট্রি প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন সময় ঢাকার বিভিন্ন স্থানে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করেন।
২০২২ সালের মার্চ মাসে ভুক্তভোগী বিয়ের রেজিস্ট্রি করার জন্য আসামিকে চাপ প্রদান করলে আসামি জানায় ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকায় সম্মেলন শেষ হলে বিয়ের রেজিস্ট্রি করা হবে। ২০২২ সালে আসামি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি পদ পায়। আসামির এই ধরনের কর্মকাণ্ডের জন্য ভুক্তভোগী ফুয়াদের নিকটতম লোকজনের সঙ্গে যোগাযোগ করলে জানতে পারেন, ফুয়াদ অন্য একটি মেয়ে বিয়ে করেছেন।