বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির কারণে প্রতি মাসে গড়ে 9.4 শতাংশ বাড়বে, যা বেড়ে দাঁড়াবে 118 টাকা। বুধবার সকালে রাজধানীর বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) কার্যালয়ে বিদ্যুৎ ভর্তুকি অপসারণের বিকল্প ব্যবস্থা নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
সিপিডি বলছে, ভর্তুকি প্রত্যাহারের জন্য জনগণের ওপর মূল্যের চাপ বাড়ানো অযৌক্তিক। সেক্ষেত্রে ক্যাপাসিটি চার্জের বোঝা কমানো, প্রতিযোগিতামূলক মূল্যে বিদ্যুৎ কেনাসহ সরকারের সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা নেওয়া উচিত। সংবাদ সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করে সিপিডির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, দাম বৃদ্ধির হার একটি ইতিবাচক সিদ্ধান্ত। তবে বিদ্যুতের দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কৃষি খাতে সেচ ও শিল্প উৎপাদন খরচ বাড়বে।
গোলাম মোয়াজ্জেমের মতে, দেশে চাহিদার তুলনায় বেশি হারে বিদ্যুত উৎপাদন ক্ষমতা তৈরি হওয়ায় ভর্তুকি দেওয়ার প্রধান কারণ বড় ক্ষমতার চার্জ। তাই কয়েক বছরের মধ্যে এটি গুরুত্ব সহকারে ক্ষমতা চার্জ থেকে বেরিয়ে আসা উচিত। এ ছাড়া বিদ্যুৎ কেনার জন্য কোনো উন্মুক্ত দরপত্র না থাকায় সরকার বেশি খরচ করছে।
সিপিডির মতে, পরিকল্পিতভাবে আগামী ৫ বছরে ৬ দশমিক ৮ শতাংশ হারে দাম বাড়লেই ভর্তুকি এড়ানো যাবে। তবে আইএমএফ বলছে, দাম বাড়ানো উচিত ১২ শতাংশ। এ ছাড়া নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারের মাধ্যমে বিদ্যুৎ খাতে সরকারের ব্যয়ের বোঝা কমানো সম্ভব বলে জানিয়েছে সিপিডি।