জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরোজ সাদাত অবন্তিকার আত্মহত্যার প্রচারণা মামলার দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি নেই। ঘটনার আড়াই মাস পার হলেও জবি প্রশাসনের গঠিত তদন্ত কমিটি এখনও রিপোর্ট দেয়নি। মামলার তদন্ত কর্মকর্তাসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন এ মামলার ব্যাপারে উদাসীন।
আজ সোমবার সকাল ১০টায় কুমিল্লা নগরীর বাগিচাগাওয়ে সংবাদ সম্মেলনে মামলার বিচার নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেন অবন্তিকার মা তাহমিনা শবনম। কান্নাজড়িত কণ্ঠে নিজের হতাশা ও ক্ষোভ প্রকাশ করে বিচারের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।তাহমিনা শবনম বলেন, ‘অভিযুক্ত শিক্ষক বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর কাজী দীন ইসলাম জামিনে এসে মামলা প্রভাবিত করছেন। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্ত কমিটির সাতদিনের মধ্যে রিপোর্ট দেওয়ার কথা থাকলেও আড়াই মাসেও রিপোর্ট দেয়নি।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অবন্তিকার আত্মহত্যার প্ররোচণা মামলার আইনজীবী মাসুদ সালাউদ্দিন।তিনি বলেন, ‘আইনের যথাযথ ধারায় মামলাটি রেকর্ড হয়নি। মামলাটি এখন ডিপ ফ্রিজে আছে। আমরা চাই, মামলাটি যথাযথ গুরুত্বসহ তদন্ত হোক। এ মামলায় যারা আসামি তাদের আবারও জিজ্ঞেসাবাদ করা হোক।’এদিকে বিচারক ছুটিতে থাকায় অরিত্রী অধিকারীর আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলার রায় আবারও পিছিয়েছে।
আজ সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ ১২-এর বিচারক আব্দুল্লাহ আল মামুনের আদালতে মামলাটির রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য ছিল। তবে বিচারক ছুটিতে থাকায় আজ রায় ঘোষণা হয়নি।গত ২১ জানুয়ারি মামলাটি রায়ের জন্য ছিল। এরপর গত ৮ ফেব্রুয়ারি, ৩ মার্চ ও ৯ এপ্রিলও রায় প্রস্তুত না হওয়ায় তা ঘোষণা হয়নি। গত বছরের ২৭ নভেম্বর একই আদালত রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে এ মামলায় রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য করেন।