Skip to content

বিএনপি নেতা নাদিম মোস্তফার জানাজায় জনতার ঢল

    বিএনপি নেতা নাদিম মোস্তফার জানাজায় জনতার ঢল prothomasha.com

    সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক বিশেষ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নাদিম মোস্তফার জানাজায় দলীয় নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষের ঢল নেমেছে। বর্তমান রাজশাহী-৫ আসন (সাবেক রাজশাহী-৪) পুঠিয়া-দুর্গাপুর তার নির্বাচনী এলাকার দলীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষসহ সর্বস্তরের মানুষ এ জানাজায় অংশ নেন।বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ওবায়দুল রহমান চন্দন জানান, আজ সোমবার প্রয়াত নেতা নাদিম মোস্তফার নির্বাচনী এলাকায় তিনটি জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    প্রতিটি জানাজায় জনতার ঢল নেমেছে। তার নির্বাচনী এলাকায় প্রথম জানাজা সকাল ১০টায় দুর্গাপুর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে, দ্বিতীয় জানাজা বেলা ১১টায় পুঠিয় পিএন উচ্চ বিদ্যালয় এবং তৃতীয় জানাজা বেলা পৌণে ১২টায় বানেশ্বর কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। বাদ জোহর রাজশাহীর ঈদগাঁ মাঠে শেষ জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে বিএনপির কেন্দ্রীয়, রাজশাহী জেলা ও মহানগরের নেতাকর্মীসহ সর্বস্তরের মানুষ অংশগ্রহন করবে। এর আগে সকালে রাজধানী ঢাকা থেকে নাদিম মোস্তফার মরদেহ সড়ক পথে তার নির্বাচনী এলাকায় নেওয়া হলে এক নজর দেখার জন্য নারী-পুরুষের ঢল নামে। এ সময় অনেককে চোখের পানি মুছতে দেখা যায়, জানান চন্দন।

    এসব জানাজায় জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সদ্য কারামুক্ত আবু সাইয়িদ চান, জেলা বিএনপি নেতা আনোয়ার হোসেন উজ্জ্বলসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা অংশ নেন। তবে, মহানগরের এক নেতা বলেন, নাদিম মোস্তফার মতো একজন নেতার মৃত্যুতে কমপক্ষে জেলা ও মহানগর বিএনপি রাজশাহীতে একদিনের শোক ঘোষণা করতে পারতেন, এ নিয়ে নেতাকর্মীদের মাঝে ক্ষোভ আছে।

    রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও জেলা ছাত্রদলের সাবেক নেতা নাদিম মোস্তফা কেন্দ্রীয় বিএনপির বিশেষ সম্পাদক, রাজশাহী মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক, জেলা বিএনপির সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। রাজশাহী পুঠিয়া-দুর্গাপুর আসন থেকে পরপর ১৯৯৬ ও ২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দুই বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ছিলেন নাদিম মোস্তফা।

    ৬০ বছর বয়সে গতকাল রবিবার বেলা ১১টায় হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে মারা যান। এরপর বিকালে নাদিম মোস্তফার মরদেহ নেওয়া হয় দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে। সেখানে তার মরদেহ দলীয় পতাকা দিয়ে মুড়িয়ে দেওয়া হয়। এরপর জানাজা শেষে তার রুহের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত ও ফুল দিয়ে চিরবিদায় দেওয়া হয় এই নেতাকে। মৃত্যুকালে নাদিম মোস্তফা স্ত্রী, এক ছেলে, এক মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।বিএনপি মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।