Skip to content

বাম, ডান, অতি ডান সবাই আন্দোলনের ব্যাপারে একমত হয়েছিলাম: মির্জা ফখরুল

    বাম, ডান, অতি ডান সবাই আন্দোলনের ব্যাপারে একমত হয়েছিলাম: মির্জা ফখরুল prothomasha.com

    সরকারবিরোধী আন্দোলনে বাম, ডান, অতি ডান সবাই একমত হতে পেরেছিলেন জানিয়ে এটিকে বড় অর্জন হিসেবে অভিহিত করলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির ২০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আজ বুধবার ঢাকা রিপোর্টর্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) ‘বাংলাদেশে গণতন্ত্রের সংকট-উত্তরণের পথ’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমাদের সহপাঠী ছিলেন বুলবুল খান; তিনি কবিতা লিখে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিলেন। আমরা তার কবিতার দুটি লাইন হাতে লিখে ছড়িয়ে দিতাম, ‘‘অস্থির যুবকেরা শোন, হতাশাই শেষ কথা নয়। যেন প্রতি রজনীর পরে হবে নতুন সূর্যোদয়।’’ এটা হচ্ছে মূল কথা। নতুন সূর্যোদয় হবেই হবে। সেখানে আমাদের পৌঁছাতে হবে।’পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধ ভাষা আন্দোলন থেকে মুক্তিযুদ্ধ ও স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী সফল আন্দোলনের প্রসঙ্গ টেনে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আমাদের হয়তো চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করা এখনো সম্ভব হয়নি, কিন্তু মানুষ জেগে উঠেছে। এই ধরনের আন্দোলন যখন হয়, তখন সবকিছু একবারেই হয়ে যায়- তা মনে করার কারণ নেই। আমাদের সবচেয়ে বড় অর্জন বাম, ডান, অতি ডান সবাই আন্দোলনের ব্যাপারে একমত হয়েছিলাম। সেই আন্দোলন চলছে। শিগগির সেই আন্দোলন আরও বেগবান হবে।’যুগপৎ আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমরা এমন কোনো কথা বলব না, যাতে করে বিদ্যমান ঐক্য বিনষ্ট হয় বা বিভক্তি সৃষ্টি হয়। সবাইকে নিয়েই আমাদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে।’তিনি বলেন, ‘ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের অপকর্ম -তা এককথায় বলে শেষ করা যাবে না। প্রথম সর্বনাশটা করেছে বাংলাদেশের রাজনীতির যে কাঠামো তা তারা ধ্বংস করে দিয়েছে। আগেও করেছিল, এবার করেছে ভিন্ন কায়দায়। এখন শিক্ষিত হয়েছে – গণতন্ত্রের লেবাস পরিয়ে বাংলাদেশের রাজনৈতিক কাঠামো অর্থাৎ সংবিধানের ভিত্তিতে যেটা গঠন করেছিলাম সেটা ধ্বংস করে দিয়েছে। সত্যিকার অর্থে ফ্যাসিবাদী শাসন কায়েম করেছে। অন্যদিকে, অর্থনৈতিকভাবে যে স্তম্ভগুলো সেগুলো, সে বিনষ্ট করেছে।’মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আগে শুধুমাত্র আমরা বলতাম। এখন দেশের প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদরাও বলতে শুরু করেছেন। কারণ তারা দেশপ্রেমিক, তারা দেখেছেন যদি এভাবে চলতেই থাকে তাহলে এই দেশের আর কোনো অস্তিত্ব থাকবে না। নোয়াবের (দৈনিক পত্রিকার মালিকদের সংসগঠন) সেমিনারে দেশের অর্থনীতিবিদরা বলেছেন, নীতি নৈতিকতায় বিবর্জিত যে অর্থনীতি তারা (সরকার) এগিয়ে নিয়ে চলছে, তা দেশের ধ্বংস ছাড়া কিছুই বয়ে আনবে না।’

    তিনি বলেন, ‘এই সরকার রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সকল কাঠামো ধ্বংস করেছে। আমাদের প্রধান শত্রু এই দখলদার সরকার- এটা আমাদের মাথায় রেখে আমাদের কাজগুলো করতে হবে। দেশের মানুষ এই সরকারকে চায় না।’বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হকের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য দেন ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতা ও জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাউয়ুম, জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, এবি পার্টির আহ্বায়ক সোলায়মান চৌধুরী বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, গণঅধিকার পরিষদের (নুর) সভাপতি নুরুল হক নুর প্রমুখ।