মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ১২ টার দিকে নিজ ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে। আত্মহননকারী রিয়া খাতুন (১৭) উপজেলার সদকী ইউনিয়নের তারাপুর গ্রামের রাশিদুল মালিথার মেয়ে। সে কুমারখালী আদর্শ মহিলা কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
রিয়ার ফুুপু টুম্পা খাতুন জানান, তার ভাতিজি রিয়ার সঙ্গে সহপাঠী নুসরাতের খুব ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। উভয় উভয়কে একদিন না দেখে থাকতে পারতো না। দুই বান্ধবী ওয়াদাবদ্ধ ছিল পড়ালেখা শেষ করে একসঙ্গে বিয়ে করার। কিন্তু হঠাৎই নুসরাতকে পারিবারিক ভাবে বিয়ে দেয়া হয়। এবং বিয়ের পর নুসরাত বাবার বাড়িতে আসলে রিয়া তাকে স্বামী বাড়ি যেতে নিষেধ করে। নুসরাত তার অনুরোধ উপেক্ষা করে স্বামীর বাড়িতে যাওয়ার পর মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২ টার দিকে তারা পার্শ্ববর্তী ওয়াজ মাহফিল থেকে ফিরে এসে রিয়ার বসত ঘরে তার ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান।
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকিবুল ইসলাম জানান, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট আসার পর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। এ ব্যাপারে কুমারখালী থানায় একটি ইউডি মামলা হয়েছে।