Skip to content

বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা

    বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা prothomasha.com

    এক সময় অন্য চাকরি ছেড়ে অনেকে বাংলাদেশ ব্যাংকে আসতেন। কিন্তু বর্তমানে পাল্টে গেছে সেই চিত্র। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে প্রথম শ্রেণির ৫৭ জন কর্মকর্তা পদত্যাগ করেছেন। গত মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বাংলাদেশ ব্যাংকের এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়। জানা যায়, বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসসহ (বিসিএস) অন্য চাকরিতে যোগ দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ৫৭ জন কর্মকর্তা পদত্যাগ করেছেন। তবে তাদের চাকরি ছেড়ে অন্যত্র চলে যাওয়া নিয়ে ছড়িয়েছে গুঞ্জন।

    সংশ্লিষ্টদের মতে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বায়ত্তশাসনের ঘাটতিতে হতাশা, চাকরির সুযোগ-সুবিধা কমে আসা ইত্যাদি কারণে অনেক কর্মকর্তা চাকরি ছাড়ছেন। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার মাধ্যমে মেধাবীরা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের চাকরিতে আসার একটি বড় কারণ ছিল নিজস্বতা। স্বাধীনভাবে তারা বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নিতে পারতেন। এখন পরিদর্শনসহ বেশির ভাগ সিদ্ধান্ত ওপর থেকে চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এ নিয়ে অনেকের মধ্যে হতাশা রয়েছে। আবার অন্য যেকোনো প্রতিষ্ঠানের চেয়ে সুযোগ-সুবিধাও কিছুটা বেশি পেতেন বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা। ধীরে ধীরে তা কমিয়ে অন্য চাকরির মতোই করা হচ্ছে।

    পদত্যাগকারী ৫৭ কর্মকর্তার মধ্যে রয়েছেন একজন উপপরিচালক ও একজন অফিসার। বাকি ৫৫ জন সহকারী পরিচালক। তাদের মধ্যে ৪৮ জনের পদত্যাগ কার্যকর হবে বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) থেকে। এছাড়া গত ৩১ মার্চ, ১৫ ও ১৬ এপ্রিল একজন করে, ১৮ এপ্রিল ২ জন এবং ২১ এপ্রিল ৪ জনের পদত্যাগ কার্যকর হয়েছে। চাকরি ছেড়ে যাওয়া এসব কর্মকর্তা বেশির ভাগই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগে কর্মরত ছিলেন। এছাড়া খুলনা ও বরিশাল অফিসে ৩ জন করে, সিলেট অফিসে ২ জন, মতিঝিল, চট্টগ্রাম ও রংপুর অফিসে একজন করে কর্মরত ছিলেন।

    কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কয়েকজন কর্মকর্তা বলেন, দেশের অন্য যেকোনো চাকরির মধ্যে তুলনামূলকভাবে ব্যাংকের বেতন বেশি। ব্যাংক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরিতে নানাভাবে উৎসাহিত করার ব্যবস্থা ছিল। সব ক্ষেত্রে মেধাবীদের প্রাধান্য ছিল। ২০১৮ সাল পর্যন্ত সহকারী পরিচালক হিসেবে যোগদানের পর একাডেমিক রেজাল্টের ভিত্তিতে চারটি অতিরিক্ত ইনক্রিমেন্ট দেওয়া হতো। ২০১৯ সালের এডি ব্যাচ থেকে তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। ২০২২ সালের আগ পর্যন্ত তিন বছর পূর্ণ হলে পদ খালি থাকা সাপেক্ষে পরবর্তী ধাপে পদোন্নতির যোগ্য হতেন কর্মকর্তারা। এখন পদ খালি থাকলেও ৫ বছর না হলে পদোন্নতি পান না।

    আগে যোগদানের পর ৯ মাসের ফাউন্ডেশন প্রশিক্ষণ করানো হতো। এখন এক থেকে তিন মাসে নামিয়ে আনা হয়েছে। আবার এই প্রশিক্ষণে ৮০ শতাংশ নম্বর পেলে অতিরিক্ত একটা ইনক্রিমেন্ট দেওয়া হতো। সেটিও এখন বন্ধ। আর সরকারি চাকরি পঞ্চম গ্রেডে প্রতিমাসে ৪৫ হাজার টাকা কার মেইনটেন্যান্স ভাতা দেওয়া হলেও কেন্দ্রীয় ব্যাংকে তা দেওয়া হয় না।