দেশের বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ২০ লাখ মানুষ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমান। আজ শনিবার দুপুরে সচিবালয়ে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি বন্যা আরও দীর্ঘস্থায়ী হওয়ার শঙ্কা রয়েছে কি না, জানতে চাইলে দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এই বন্যাগুলো প্রতি বছরই হয়। হিমালয় থেকে পাহাড়ি ঢল নামে এবং ভারত হয়ে বাংলাদেশে আসে, আস্তে আস্তে সাগরের দিকে চলে যায়। উত্তর দিক থেকে শুরু হয়, আরও দক্ষিণ দিক প্লাবিত হতে পারে।’
মহিববুর রহমান বলেন, ‘শুধু এখন না, আমরা ধারণা করছি আগস্ট বা সেপ্টেম্বরেও বন্যা হওয়ার সম্ভাবনা আছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে শুধু এবার না, পরবর্তী বন্যার জন্য আমরা প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি।’প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘পত্রিকায় আমরা দেখছি, লেখা হচ্ছে- অনেকে খাবার পায়নি। সে জন্য আমরা জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) সঙ্গে সরাসরি কথা বলব, কারণ আমরা তো পর্যাপ্ত খাবার দিচ্ছি।’
তিনি বলেন, ‘আমরা ইউএনওর (উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা) কাছ থেকে প্রতিদিন রিপোর্ট পাই। রিপোর্টটি জেলা প্রশাসকরা আমাদের কাছে পাঠান। সংসদ সদস্যরা (এমপি) ব্যক্তিগতভাবে আমাদের কাছে সুবিধা-অসুবিধার কথা জানান। সংসদ সদস্যদের এলাকাভিত্তিক চাহিদা অনুযায়ী আলাদা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।’
মহিববুর রহমান বলেন, এবারের বন্যায় ৩ কোটি ১০ লাখ টাকা নগদ, ৮ হাজার ৭০০ মেট্রিক টন চাল, ৫৮ হাজার ৫০০ প্যাকেট শুকনো খাবার, ৬০ লাখ টাকা শিশুখাদ্য, ৬০ লাখ টাকার গো-খাদ্য বিতরণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, বন্যাকবলিত সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোণা, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, রংপুর, জামালপুর, গাইবান্ধা, ফেনী, রাঙ্গামাটি, বগুড়া, কুড়িগ্রাম, সিরাজগঞ্জ, লালমনিরহাট, কক্সবাজার জেলায় দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় কাজ করছে। ভবিষ্যতে যদি বন্যা আরও বিস্তৃতি লাভ করে, সেখানেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।