Skip to content

বগুড়ায় দোকানের তালা ভেঙে ১২০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার চুরি

    বগুড়ায় দোকানের তালা ভেঙে ১২০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার চুরি prothomasha.com

    বগুড়া শহরের নিউ মার্কেটে স্বর্ণের দোকানের তালা ভেঙে ১২০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার চুরির অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) রাতের কোনো এক সময় আল তৌফিক জুয়েলার্সে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে সদর থানা পুলিশ ও বাংলাদেশ জুয়েলার্স মালিক সমিতির (বাজুস) নেতৃবৃন্দ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

    তৌফিক জুয়েলার্সের মালিক কামরুল হোসেন প্রাথমিকভাবে জানান, ১২০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার চুরি হয়েছে। টাকার অংকে যার মূল্য প্রায় ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা। তিনি আরও জানান, বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফিরে যান। শনিবার সকালে দোকানের ব্যবস্থাপক জানায় শার্টারের তালা ভাঙা। খবর পেয়ে মালিক সমিতি ও পুলিশের উপস্থিতিতে দোকান খুলে দেখা যায় দুর্বৃত্তরা সব নিয়ে গেছে। তবে সিন্দুকে তারা হাত দেয়নি। এতে করে নগদ অর্থ ও কিছু গহনা চুরি যায়নি।

    সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বগুড়া সদর থানার উল্টো পাশেই মাত্র ১৫০ গজ দূরে ছমির উদ্দীন নিউ মার্কেটে তৌফিক জুয়েলার্সের দুইটি দোকান। এর মধ্যে দুই নম্বর দোকানটিতে চুরির ঘটনা ঘটেছে। দুর্বৃত্তরা দোকানের দুটি শার্টারে লাগানো চারটি তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। সামনে সাজানো ও পেছেনের র‌্যাকে রাখা সব স্বর্ণালঙ্কার চুরি হয়েছে। দোকানের ভেতরে তিনটি ও বাইরে চারটি সিসিটিভি ক্যামেরা থাকলেও ঘটনা ঘটার সময় সেগুলো বন্ধ ছিলো। তবে চুরি হওয়া দোকানটির আশপাশের কাপড় ও গহনার দোকানের বাইরে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো আছে।

    তৌফিক জুয়েলার্সের মালিক কামরুল হোসেন আরও বলেন, কারও প্রতি সন্দেহ না থাকলেও চুরির ঘটনাটি পরিকল্পিত। তারা ভল্টের কোনো ক্ষতি না করে শুধু বাইরে রাখা স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে গেছে। দোকানে সিসিটিভি ক্যামেরা থাকলেও রাতে বিদ্যুতের লাইন বন্ধ করে দেওয়ায় সেটি সচল ছিল না।

    নিউ মার্কেট ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শামীম সরকার বলেন, মার্কেটের সিকিউরিটি আরও বাড়ানো দরকার। পর্যাপ্ত সিকিউরিটি আমরা দিতে পারি না। দোকান মালিকেরা যদি সিকিউরিটি টাকাটা দিতো তাহলে সিকিউরিটি বাড়ানো যেত। আমরা মার্কেটে সকল দোকানদের সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানোর কথাও বারবার বলেছি, কিন্তু কাজ হয়নি।

    বগুড়া সদর থানার পরিদর্শক তদন্ত মো. শাহীনুজ্জামান বলেন, শুক্রবার দিবাগত রাতের কোনো এক সময় চুরির ঘটনাটি সংগঠিত হয়েছে। প্রাথমিকভাবে মনে হয়েছে পরিকল্পিতভাবে এখানে চুরির ঘটনা ঘটানো হয়েছে। তদন্ত শুরু হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এখনও কাউকে হেফাজতে নেওয়া হয়নি। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে।