২০০৩ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে ছিলেন ড্যারেন ফ্লেচার। ইউনাইটেডের হয়ে ৫টি প্রিমিয়ার লিগ ও ১টি চ্যাম্পিয়নস লিগও জিতেছেন তিনি। এরপর ক্লাবটির কোচের দায়িত্বও পালন করেন সাবেক এই মিডফিল্ডার। বর্তমানে ফ্লেচার আছেন টেকনিক্যাল ডিরেক্টরের দায়িত্বে।
ইউনাইটেডের সঙ্গে ফ্লেচারের সম্পৃক্ততা এটুকুতেই শেষ হচ্ছে না। এবার সেই ফ্লেচারের যমজ দুই ছেলে জ্যাক ও টাইলর ইউনাইটেডের সঙ্গে প্রথম পেশাদার চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন। এর ফলে ক্লাবের হয়ে অভিষেকের আগেই আলোচনার কেন্দ্রে এই দুই ভাই। এমনকি ইনস্টাগ্রামে দুই ভাইয়ের চুক্তি স্বাক্ষরের ছবি দেখে কে জ্যাক আর কে টাইলর, তা চিহ্নিত করা মুশকিল। তবে দুজনের মধ্যে দৃশ্যমান বড় পার্থক্যটি হলো একজন চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন ডান হাতে, আরেকজন বাঁ হাতে। ১৭ বছর বয়সী ভাইয়ের দুজনই আবার খেলেন সেন্ট্রাল মিডফিল্ডার হিসেবে। অর্থাৎ সামনের দিনগুলোতে দলে জায়গা পাওয়া নিয়ে রোমাঞ্চকর লড়াইও দেখা যেতে পারে দুই ভাইয়ের মধ্যে।
ইউনাইটেডে যোগ দিয়ে জ্যাক ও টাইলর ভাতৃদ্বয় মনে করিয়ে দিচ্ছেন ফুটবলে যমজ ভাইদের ইতিহাসকেও। যে তালিকায় উল্লেখযোগ্য হচ্ছেন ফ্রাঙ্ক–রোনাল্ড ডি বোয়ের, রেনে–উইলি ফন ডে কেরখফ, ফাবিও–রাফায়েল দা সিলভা, রেচেল–মেগান রাপিনো এবং ফ্লোরেন্তিন–মাথিয়াস পগবাদের মতো যমজ ভাইয়েরা।ইউনাইটেডে যোগ দিয়ে জ্যাক ও টাইলর ভাতৃদ্বয় মনে করিয়ে দিচ্ছেন ফুটবলে যমজ ভাইদের ইতিহাসকেও। যে তালিকায় উল্লেখযোগ্য হচ্ছেন ফ্রাঙ্ক–রোনাল্ড ডি বোয়ের, রেনে–উইলি ফন ডে কেরখফ, ফাবিও–রাফায়েল দা সিলভা, রেচেল–মেগান রাপিনো এবং ফ্লোরেন্তিন–মাথিয়াস পগবাদের মতো যমজ ভাইয়েরা।
রেনে ও উইলি ফন ডে কেরখফ
ডি বোয়ের ভাতৃদ্বয় অবশ্য নেদারল্যান্ডসের হয়ে খেলা প্রথম যমজ ভাইয়ের জুটি ছিলেন না। এর আগে তাঁদের পূর্বসূরি হিসেবে খেলেছেন কেরখফ ভাতৃদ্বয়। এই দুই ভাই এফসি টোয়েন্টে এবং পিএসভি আনইন্দোভেনে একসঙ্গে খেলেছেন। তাঁরা একসঙ্গে ১৯৭৪ ও ১৯৭৮ সালের বিশ্বকাপেও খেলেছেন। যদিও দুবারই বিশ্বকাপ ফাইনালে হেরে রানার্সআপ হয়েছেন তাঁরা।
ফাবিও ও রাফায়েল দা সিলভা
ফ্লেচার ভাতৃদ্বয়ের আগে দুই ব্রাজিলিয়ান ফাবিও ও রাফায়েল দা সিলভা যমজ হিসেবে খেলেছেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে। ২০০৮ সালে ফ্লুমিনেন্স থেকে নিয়ে আসা হয় তাঁদের। আলাদা হওয়ার আগপর্যন্ত ৬ বছর একে অপরের সঙ্গে খেলেছেন ফাবিও ও রাফায়েল। ইউনাইটের বাইরে দুই ভাই ফরাসি লিগ ‘আঁ’তে একসঙ্গে খেলেছেন। ব্রাজিলে ফিরে ফাবিও গ্রেমিও এবং রাফায়েল বোতাফাগোতে খেলছেন।
র্যাচেল ও মেগান রাপিনো
ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েদের ফুটবলেও দেখা মিলেছে যমজের। দুই মার্কিন বোন র্যাচেল ও মেগান প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রকে। তবে সাফল্যের মানদণ্ডে দুজনের মধ্যে পার্থক্য যোজন যোজন। মেগানের সমৃদ্ধ ট্রফি–কেবিনেটের বিপরীতে র্যাচেল অনেকটাই ম্লান। বয়সভিত্তিক দলে খেললেও র্যাচেল কখনো জাতীয় দলকে প্রতিনিধিত্ব করতে পারেননি। অন্যদিকে মেগান যুক্তরাষ্ট্র জাতীয় দলের হয়ে দুটি বিশ্বকাপ জিতেছেন।
ফ্লোরেন্তিন ও মাথিয়াস পগবা
এই দুই যমজ ভাইকে অবশ্য লোকে চেনে তাঁদের ছোট ভাইয়ের কারণে। বলা হচ্ছে পল পগবার কথা। ফ্লোরেন্তিন ও মাথিয়াস সাফল্যে পলের (পগবা) ধারেকাছেও যেতে পারেননি। ২০১৮ সালে ফ্রান্সের বিশ্বকাপজয়ী দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন পল পগবা। তাঁর বড় দুই যমজ ভাই অবশ্য প্রতিনিধিত্ব করেছেন গিনি জাতীয় দলকে। সেখানেও অবশ্য কোনো সাফল্য পাননি তাঁরা।