Skip to content

ফের পেছাল মামলার রায়

    ফের পেছাল মামলার রায় prothomasha.com

    বিচারক ছুটিতে থাকায় ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী অরিত্রী অধিকারীর আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলার রায় আবারও পিছিয়ে যাচ্ছে। মামলার দুই আসামি হলেন- ওই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষিকা নাজনীন ফেরদৌস ও জিনাত আক্তার। তারা জামিনে আছেন।

    আজ সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ ১২-এর বিচারক আব্দুল্লাহ আল মামুনের আদালতে মামলাটির রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য ছিল। তবে বিচারক ছুটিতে থাকায় আজ রায় ঘোষণা হচ্ছে না।ভারপ্রাপ্ত বিচারক রায়ের নতুন তারিখ ধার্য করবেন বলে সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী রাহিমুল করিম আকন্দ জানিয়েছেন।

    সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. হিমেল বলেন, ‘স্যার (বিচারক) ছুটিতে থাকায় আজ রায় হচ্ছে না। তবে ভারপ্রাপ্ত বিচারক রায়ের নতুন তারিখ নির্ধারণ করবেন।’গত ২১ জানুয়ারি মামলাটি রায়ের জন্য ছিল। এরপর গত ৮ ফেব্রুয়ারি, ৩ মার্চ ও ৯ এপ্রিলও রায় প্রস্তুত না হওয়ায় তা ঘোষণা হয়নি। গত বছরের ২৭ নভেম্বর একই আদালত রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে এ মামলায় রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য করেন।এর আগে ২০১৮ সালে ৩ ডিসেম্বর শান্তিনগরের বাসায় গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী অরিত্রী (১৫)। তার আগের দিন পরীক্ষায় নকল করার অভিযোগে তাকে পরীক্ষা হল থেকে বের করে দিয়েছিল স্কুল কর্তৃপক্ষ।

    স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, অরিত্রী পরীক্ষায় মোবাইল ফোনে নকল নিয়ে টেবিলে রেখে লিখছিল। অন্যদিকে স্বজনদের দাবি, নকল করেনি অরিত্রী।এরপর অরিত্রীর বাবা-মাকে ডেকে নেওয়া হয় স্কুলে। তখন অরিত্রীর সামনে তার বাবা-মাকে অপমান করা হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। ওই দিনই আত্মহত্যা করেন অরিত্রী। আত্মহত্যার পর তার সহপাঠীরা বিক্ষোভে নামে। ৪ ডিসেম্বর তার বাবা দিলীপ অধিকারী আত্মহননে প্ররোচনার অভিযোগ এনে মামলা করেন। ওই মামলায় অরিত্রীর শিক্ষকদের পুলিশ গ্রেপ্তার করলেও পরে তারা জামিন পান।মামলার এজাহারে অরিত্রীর বাবা লেখেন, স্কুল কর্তৃপক্ষ মেয়ের সামনে তাদের অপমান করে। ওই অপমান এবং পরীক্ষা দিতে না পারার মানসিক আঘাত সইতে না পেরে অরিত্রী আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়।