অপরাজিত স্পেন নাকি চমকপ্রদ ইংল্যান্ড। কার হাতে উঠবে ইউরোপিয়ান ফুটবলের শ্রেষ্ঠত্বের শিরোপা। লড়াইটা ইউরোপের এই দুই দলের হলেও এই হিসাব-নিকাশ মেলাতে ব্যস্ত গোটা ফুটবল বিশ্ব। তবে কোনো হিসাব-নিকাশ নয়, এবারের আসরে এখন পর্যন্ত অপরাজিত স্পেনকে ফাইনালে ফেভারিট হিসেবে দেখছেন ইংল্যান্ডের কোচ গ্যারেথ সাউথগেট।আগামী রবিবার রাতে বার্লিনের অলিম্পিক স্টেডিয়ামে গেল আসরে রানার্সআপ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নামবে ইউরোর সর্বোচ্চ তিনবারের চ্যাম্পিয়ন স্পেন।
এবারের আসরের পুরো টুর্নামেন্টে নিজেদের সামর্থ্যের প্রমাণ দিয়েছে ফুয়েন্তের শিষ্যরা। নিজেদের করে তুলেছেন শিরোপার যোগ্য দাবিদার হিসেবে। যার কারণে স্প্যানিশদের ফেভারিট মনে করে ইংলিশ কোচ বলেন, ‘তারা (স্পেন) এই টুর্নামেন্টে যা করেছে, তার জন্য তারা ফাইনালে ফেভারিট। তারা নিজেদের গুছিয়ে নিতে এক দিন বেশি সময় পাচ্ছে। এছাড়াও নিজেদের টানা দ্বিতীয় ফাইনাল নিয়ে ইংলিশ কোচ বলেন, ‘কৌশলগতভাবে আমাদের নিখুঁত হতে হবে। আমাদের কোন জায়গায় সমস্যা আছে, সেগুলো আমাদের খুঁজে বের করতে হবে।’
অন্যদিকে এখন পর্যন্ত এই টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ তিন বার শিরোপা উঁচিয়ে ধরেছে স্প্যানিশরা। যার কারণে ইংল্যান্ড কোচের মতো নিজেদের ফেভারিট হিসেবে দেখছেন স্পেনের কোচ লুইস দে লা ফুয়েন্তে। সেই সঙ্গে ইংল্যান্ডকে একবারে হালকাভাবে নিচ্ছেন না স্প্যানিশ কোচ। তিনি বলেন, ‘এই টুর্নামেন্ট শুরুর আগে ইংল্যান্ড, ফ্রান্স ছাড়াও নিজেদের মাঠে খেলার কারণে জার্মানিও ফেভারিট ছিল। এই ফেভারিটদের (ইংল্যান্ড ছাড়া) টপকানোর সুযোগ আমরা পেয়েছিলাম এবং পারও করেছি। এখন আমাদের সামনে আরেকটি বড় ম্যাচ।’
এছাড়াও ইংল্যান্ড যে কোনো সমম জ্বলে উঠতে পারে বলে মনে করেন ফুয়েন্তে। যার কারণে নিজেদের সতর্ক থাকতে হবে বলে জানান তিনি। এই নিয়ে তিনি বলেন, ‘হতে পারে, ফাইনালে ইংল্যান্ডের চেয়ে আরও ভালো ফুটবলের পসরা মেলে ধরবে স্পেন। কিন্তু লড়াইটা এখন এক ম্যাচের, ফলে আগের কোনোকিছুর প্রভাব থাকবে না। ইংল্যান্ডের মানসম্পন্ন খেলোয়াড় আছে, যারা যে কোনো মুহূর্তে জ্বলে উঠতে পারে। লড়াইটা কঠিন হবে।’ এছাড়াও নিজ দল স্পেনকে নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা এই ফাইনালের জন্য মুখিয়ে আছি। আমরা আমাদের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে চাই।
’এর আগে ১৯৯৬ সালে প্রথম বারের মতো ইউরোর নকআউট পর্ব কোয়ার্টার ফাইনালে মুখোমুখি হয় ইংল্যান্ড ও স্পেন। সেবার ওয়েম্বলিতে স্প্যানিশদের টাইব্রেকারে হারিয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে ইংলিশরা। এরপর ২০১৮ সালে সবশেষ উয়েফা নেশন্স লিগে মুখোমুখি হয় এ দুই দল। সেবার স্পেনকে হারায় ইংল্যান্ড। যদিও সেই সব এখন অতীত। স্পেনের এই দলকে হারাতে হলে যে ইংলিশদের কঠিন পরীক্ষা দিতে হবে, সেটা এই দুই দলের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স দিকে তাকালে আঁচ করা যায়। কিন্তু নিজেদের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ইউরো জয়ের স্বাদ পেতে মরিয়া হয়ে থাকবে ইংলিশরা।