কালো টাকা’ হিসেবে অপ্রদর্শিত আয় সাদা বা বৈধ করার সুযোগ দেওয়া নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যকে ‘ধুম্রজ্বাল সৃষ্টির কৌশল’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।আজ শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে এক আলোচনা সভায় বিএনপি মহাসচিব এই মন্তব্য করেন। জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) উদ্যোগে প্রয়াত সিরাজুল আলম খানের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ‘বাঙালির জাগরণে করণীয় ও সিরাজুল আলম খান’ শীর্ষক এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘এটা (বড়শিতে আধার গেঁথে মাছ শিকার) হাস্যকর কথা। আমরা তো দেখলাম যে, আপনারা ওই মাছের টোপ দিয়ে যাদেরকে ধরেন তারা…. আপনার নিজেরাই তো এর সঙ্গে (দুর্নীতি) সাথে জড়িত। আপনি বাজেট দেখলেই বুঝতে পারবেন যে, রাঘর-বোয়ালদের খাবারের আরেক ব্যবস্থা করেছে। প্রত্যেক বছর একই ঘটনা ঘটছে এবং এর মধ্যে যারা অর্থনৈতিক বিশ্লেষক তারা বলছেন, এটা শুধুমাত্র ক্ষতি ছাড়া আর কিছু করবে না।’মির্জা ফখরুল বলেন, ‘যেখান সবচেয়ে বড় সংকট হচ্ছে সাধারণ মানুষের জন্যে ইনফ্লুয়েশন… দ্রব্যমূল্য এত বেশি বেড়ে গেছে যে, এটা সাধারণ মানুষের কাছে সহনীয় হচ্ছে না। আজকে এই সমস্যা কথাগুলো বলে একটা ধুম্রজ্বাল সৃষ্টি করে মানুষকে কতদিন প্রতারিত করে রাখা হবে।’২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট পেশের পরের দিন গতকাল শুক্রবার বিকেলে তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে এক আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘কালো টাকা’ হিসেবে অপ্রদর্শিত আয় সাদা বা বৈধ করার সুযোগ দেওয়াকে ‘বড়শিতে আধার গেঁথে মাছ শিকারের’ সঙ্গে তুলনা করেন।প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি বলি, মাছ ধরতে গেলে তো আধার দিতে হয়, দিতে হয় না? আধার ছাড়া তো মাছ আসবে না। সেই রকম একটা ব্যবস্থা, এটা আসলে আগেও হয়েছে। সেই তত্ত্বাবধায়ক আমলেই শুরু করেছিল, আর পরেও প্রত্যেক সরকারই করে। সেই সুযোগটা আমরাও দিয়েছি। অল্প ট্যাক্স দিয়ে সেই টাকাটা তোমরা ব্যাংকে নিয়ে আস, সেই ব্যবস্থাটাই হয়েছে। এটা নিয়ে নানা জনে নানা কথা। কিন্তু তারপরেও যেগুলো মানুষের প্রয়োজন সেই ক্ষেত্রে ট্যাক্স কমিয়ে দিয়েছি।’