জুলাই মাসে চীন সফরে যাবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। চীন সফরকে সফল করা নিয়ে আলোচনা করেছে দুপক্ষ। সোমবার (৩ জুন) বেইজিংয়ে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এবং চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভাইস মিনিস্টার সুন ওয়েডংয়ের মধ্যে এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।বেইজিংয়ে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এই বৈঠকে সফরের দুটি বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। একটি হচ্ছে সফরের মূল উপাদান (সাবস্টেনটিভ) এবং অন্যটি সফরসূচি অর্থাৎ প্রটোকল সংক্রান্ত।
বৈঠকে রাজনৈতিক সম্পর্ক, বাণিজ্য, মেগা প্রকল্প, দুই দেশের মানুষের মধ্যে যোগাযোগ, যুব প্রশিক্ষণ, দক্ষতা বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। এসময় পররাষ্ট্র সচিব আশা প্রকাশ করেন যে, বঙ্গবন্ধুর ১৯৫২ ও ১৯৫৭ সালে চীন সফর নিয়ে লেখা বইটি প্রধানমন্ত্রীর সফরের আগে চীনা ভাষায় অনুবাদ করা হবে।পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক ফেসবুক পোস্টে জানানো হয় যে, চীন বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এবং এই সম্পর্কের ভিত্তি হচ্ছে মূল্যবোধ ও পারস্পরিক সম্মান বলে জানায় পররাষ্ট্র সচিব।
বাংলাদেশ থেকে পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে সুবিধা দেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে পররাষ্ট্র সচিব বিভিন্ন মেগা প্রকল্পে সহায়তা দেওয়ার জন্য চীনকে ধন্যবাদ জানান।চীনের ভাইস মিনিস্টার জানান যে, পাঁচ জাতির সংগঠন ব্রিকসে বাংলাদেশ যোগ দিতে চায় এবং এ বিষয়ে সহায়তা দিতে রাজি বেইজিং।তিনি আরও উল্লেখ করেন, দুই দেশের দূতাবাস দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি ২০২৫ এ আয়োজন করতে পারে। এছাড়া বাংলাদেশ থেকে আমসহ অনান্য কৃষিপণ্য আমদানির বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছে চীন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, বাংলাদেশ নিজের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় চীনের সহায়তা চায়। অন্যদিকে বেইজিং চায় নিকট প্রতিবেশীর উন্নয়নে অবদান রাখার মাধ্যমে দক্ষিণ এশিয়ায় নিজেদের অবস্থান আরও শক্ত করতে।এদিকে রবিবার (২ জুন) সন্ধ্যায় ঢাকার চীন দূতাবাসে আয়োজিত এক সেমিনারে বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন বেইজিং সফর হবে একটি ‘গেম-চেঞ্জার’ যা বাংলাদেশ-চীন সম্পর্কে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে। এটি হবে আরেকটি ঐতিহাসিক সফর।এর আগে ২০১৯ সালের জুলাইতে চীনের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াংয়ের আমন্ত্রণে পাঁচ দিনের সরকারি সফরে বেইজিং যান প্রধানমন্ত্রী। ওই সফরে ঢাকা ও বেইজিংয়ের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা সংক্রান্ত ৯টি চুক্তি স্বাক্ষর হয়।