Skip to content

প্রতিষ্ঠান হিসেবে পুলিশ-সেনাবাহিনীর মর্যাদা কোথায়, প্রশ্ন মির্জা ফখরুলের

    প্রতিষ্ঠান হিসেবে পুলিশ-সেনাবাহিনীর মর্যাদা কোথায়, প্রশ্ন মির্জা ফখরুলের prothomasha.com

    বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘নজিরবিহীন দুর্নীতিতে জড়িত পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ। একই সঙ্গে সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদকে স্যাংশন দেওয়া হয়েছে। আরেকজন তথাকথিত এমপি, তাকে কলকাতা নিয়ে টুকরা টুকরা করেছে। এই তো চেহারা। এখন ইনস্টিটিউট হিসেবে সেনাবাহিনীর অবস্থা কী? তার সম্মান-ইজ্জত কোথায় থাকে? পুলিশ বাহিনীর মর্যাদা কোথায় থাকে যার সাবেক পুলিশ প্রধানকে দেশ থেকে পালিয়ে যেতে হয়। এরাই দেশটাকে ধ্বংস করে ফেলেছে।’আজ সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের উদ্যোগে জিয়াউর রহমানের ৪৩তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

    মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমাদের এখন সময় এসেছে নিজেদের সংগঠিত করার। আমরা চেষ্টা করছি, জেল খাটছি, মা-বোনরাও জেলে যাচ্ছেন। আমরা এখনো চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করতে পারিনি। চূড়ান্ত বিজয়ের জন্য আমাদের সংগঠনকে আরও দৃঢ় করতে হবে। নিজেদের মধ্যে ছোটখাটো ভুল বোঝাবুঝি সব দূর করে ফেলেন। সবাই মিলে একযোগে নামেন। এটা শুধুমাত্র বিএনপির সমস্যা না, বাংলাদেশের সমস্যা, জাতির সমস্যা, আপনার সন্তান চাকরি পাবে কি পাবে না, স্বাধীনভাবে চলাচল করতে পারবে কি পারবে না, তা সম্পূর্ণ নির্ভর করছে শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের মাধ্যমে পরাজিত করতে পারবেন কি পারবেন না। সে জন্য তো নিরপেক্ষ সরকার লাগবে। সে জন্যই আমরা লড়াই করছি।’

    এ সময় দেশের মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থা সম্পর্কে বলতে গিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সিপিডি তাদের এক সমীক্ষায় বলেছে, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম এতো বেশি বেড়েছে, সেটাকে বিলাসবহুল মনে হয়। গরুর মাংস কেনেন না, ইলিশ মাছ তো প্রশ্নই উঠতে পারে না। ভালো সবজিও কেনা যাচ্ছে না। সাধারণ মানুষকে এই অবস্থার মধ্যদিয়ে যেতে হচ্ছে।’

    তিনি আরও বলেন, ‘জিয়াউর রহমান গণতন্ত্র নিয়ে এসেছেন, আওয়ামী লীগ ধ্বংস করেছে। বেগম খালেদা জিয়া গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে চেয়েছেন, আওয়ামী লীগ তা ধ্বংস করেছে। গত ১৫ বছরে দানবের মতো শাসন দিয়ে বাংলাদেশে শুধুমাত্র রাজনীতিকেই ধ্বংস করেনি, অর্থনীতিকেও ধ্বংস করে ফেলেছে।’বিদ্যুৎ, গ্যাস, সবজি, চাল ডালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম অনেক বেড়ে গেছে বলে মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, ‘বাচ্চাদের ঠিক মতো দুধ, ডিম দেওয়া যায় না। গরুর মাংস ৮০০ টাকা, লাউয়ের দাম প্রতিটি ১২০ টাকা। এই হলো দেশের অবস্থা।’

    কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে পত্রিকার পাতায় বিভিন্ন কোম্পানি ফ্রিজের বিজ্ঞাপন দিচ্ছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘কোরবানির ঈদে গরু জবাই করবে, তার মাংস ফ্রিজে রাখবে। এটা করতে পারে শুধুমাত্র ধনীরা। পত্রিকায় দেখলাম পাবনায় দুটি গুরু বিক্রি হয়েছে ৪০ লাখ টাকায়। একদিকে মানুষ খেতে পারছে না, সন্তানের লেখাপড়ার খরচ যোগাতে পারছে না। আরেক দিকে ৪০ লাখ টাকা দিয়ে গুরু কিনছে। এটা কেন? কারণ দেশের অর্থনীতিকে এমন জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে যে, গরীবদের গরীব করছে, অন্যদিকে ধনীদের ধনী করছে।’এই অনুষ্ঠানের যোগ দিতে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করেছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এতে উঠে যখন নামলাম, আর নড়তে পারি না। যেখানে আটকা, ওখানে আটকে থাকলাম। তাহলে লাভ কী। আমরা তো ১৫ মিনিটে আসার কথা। কিন্তু এক ঘণ্টার বেশি সময় লেগে গেল। ঢাকা বাইরে বেশি দূরে না মুন্সীগঞ্জ, ময়মনসিংহ, নারায়ণগঞ্জে যান, হাঁটতে পারবেন না। ওখানে কোনো উন্নয়ন নেই।’

    মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাসের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদের পরিচালনায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির অধ্যাপক শাহিদা রফিক, মহিলা দলের হেলেন জেরিন খান, পেয়ারা মোস্তফা, এলিজা জামান, ঢাকা মহানগর উত্তরের নায়েবা ইউসুফ, রুনা লায়লা, দক্ষিণের রুমা আখতারসহ আরও অনেকে।