Skip to content

প্রতিদিন খালি পেটে খেজুর খেলে কী হয়

    প্রতিদিন খালি পেটে খেজুর খেলে কী হয় prothomasha.com

    আমাদের কাছে অতি পরিচিত খাবার খেজুর। রোজার সময় আমাদের দেশে খেজুর বেশি খাওয়া হয়। কিন্তু শুধু রোজায় নয়, সারা বছরই খেজুর খাওয়া যেতে পারে। খেজুর এমন একটি খাবার, শরীরের যত্ন নিতে যার উপর সারা বছর ভরসা রাখা যায়।

    প্রতিদিন সকালে খালি পেটে খেজুর খেলেই মিলবে নানা রোগ থেকে পরিত্রাণ। শরীরের প্রয়োজনীয় আয়রনের অনেকটাই পাওয়া যায় এই ফল থেকে। চুল ও ত্বকের সৌন্দর্য বজায় রাখতেও খেজুরের অনেক সাহায্য করে। গুরুত্বপূর্ণ অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ছাড়াও খেজুরে রয়েছে ভিটামিন এ, বি ম্যাগনেশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, সালফার, প্রোটিন, ফাইবার এবং আয়রন। আমাদের ক্লান্ত শরীরে যথেষ্ট পরমিাণ শক্তির জোগান দিতে সক্ষম এই খেজুর। চলুন জেনে নেওয়া যাক খালি পেটে খেজুর খাওয়ার উপকারিতাসমূহ

    কোষ্ঠকাঠিন্য দূরে থাকবে

    খেজুরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, যা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। এ ছাড়া মুখের লালাকে ভালোভাবে খাবারের সঙ্গে মিশতে সাহায্য করে খেজুর। যা বদহজম অনেকাংশে দূর করে।

    মস্তিষ্ক সতেজ থাকে

    মস্তিষ্ক ভালো রেখে স্মৃতিশক্তি বাড়াতে চাইলে অবশ্যই প্রতিদিন খেজুর খেতে হবে। খেজুরে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট রয়েছে। এটি খেলে অ্যালঝাইমার রোগের ঝুঁকি কমবে।

    রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে

    খেজুরের মধ্যে পটাসিয়াম থাকে। তাই এটি খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। খেজুর স্ট্রোক, কোলেস্টেরল এবং হার্টের রোগ থেকেও রক্ষা করে। তাই প্রতিদিন খেজুর খান।

    হাড় মজবুত হবে

    খেজুরে প্রচুর পরিমাণে ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়ামের মতো খনিজ থাকে। তাই আপনার হাড় আরও মজবুত করতে চাইলে প্রতিদিন খান খেজুর। খেজুর খেলে আপনার হাড় ভালো থাকবে। এমন কি অস্টিওপোরোসিসের মতো রোগের ঝুঁকিও কমবে। বিশেষ করে বাচ্চাদের শরীরে রক্তের পরিমাণ বাড়াতে খেজুর ভিজিয়ে খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।

    হাঁটুর ব্যথা দূর হবে

    অনেক সময় হাঁটুর ব্যথা বেড়ে যায়। প্রতিদিন খেজুর খেলে এর উপকার পাওয়া যায়। ক্যালসিয়াম, সেলেনিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ ইত্যাদি পুষ্টি উপাদান খেজুরে পাওয়া যায়, যা হাড়কে মজবুত রাখে।

    চোখের সমস্যা দূর করে

    ভিটামিন ‘এ’ চোখের কর্নিয়াকে সতেজ করে। আর খেজুর ভিটামিন ‘এ’ সমৃদ্ধ। তাই নিয়মিত খেজুর খেলে চোখের সমস্যা অনেক উপকার পাওয়া যায়। খেজুরে লুটেনিন ও জেক্সানথিনও রয়েছে, যেগুলো চোখকে সুরক্ষিত রাখে।

    পুষ্টির ঘাটতি পূরণ

    খেজুরে প্রাকৃতিক চিনি থাকে, এটি স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে না। এ ছাড়া এতে রয়েছে প্রোটিন এবং প্রচুর ভিটামিন থাকে। এটি শরীরে ভিটামিন এবং খনিজগুলোর ঘাটতি দূর করে। তাই যাদের দেহে পুষ্টির ঘাটতি রয়েছে, তারা খেজুর খান।

    গর্ভবতী মা ও সন্তানের জন্য উপকারী

    খেজুর গর্ভবতী নারীদের জন্য বেশ উপকারী। খেজুরে উপস্থিত আয়রন নারীদের রক্তে ভরপুর করে। খেজুর ভিটামিন এবং খনিজ সমৃদ্ধ, যা গর্ভবতী নারীদের জন্য অপরিহার্য। এ ছাড়া এটি শিশুর জন্মগত রোগও নিরাময় করে।

    ব্রণ থেকে মুক্তি মেলে

    খেজুরে রয়েছে ভিটামিন বি৫, প্রোটিন, অ‍্যান্টিঅক্সিড‍্যান্টের মতো উপাদান, যা ব্রণের সমস্যা দূর করে। ব‍্যাকটেরিয়া সংক্রমণ থেকে দূরে রাখে।

    ত্বক টান টান হয়

    ত্বকের সৌন্দর্য বাড়াতে খেজুরের জুড়ি মেলা ভার। নিয়মিত খেজুর খেলে ত্বকের শিথিলতা দূর হয়। ত্বক ভেতর থেকে সতেজ এবং সজীব হয়ে ওঠে।